বিসমিল্লাহির রহমানীর রহিম
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। তাহলে কাজের কথায় আসি।
দ্বিতীয় খণ্ড যারা পড়েন নি, তারা পড়ে নিন।
দ্বিতীয় খণ্ডের পরে।
জাহাজ বা গাড়ির সফরে নামাজঃ সফরেও যে তোমার নামাজ কাযা হইতে না পারে। রেল গাড়িতেই সফর কর কিংবা গরুর গাড়িতে-গরুর গাড়ি ত তোমারই আয়ত্তে। মাঠে থামাও এবং এক পাশে গিয়া বোরকা পরিয়া অথবা বড় একটি চাররে আবৃত হইয়া নামাজ পড়িয়া লও। যদি অজু না থাকে তবে গুরু গাড়ির আড়ালে বসিয়া অজু করিয়া লও। আর যদি রেলগাড়িতে সফর কর, তবে মেয়েদের নির্ধারিত গাড়িতে সফর করিও, সেই গাড়িতে যত ভীড়ই তউক না কেন, নামাজ পড়িবার পাক্কা এরাদা দৃঢ় থাকিলে নামাজের জায়গা নিশ্চয় পাইবে। অনেক ষ্টেশনে রেলগাড়ি এতটুকু দাঁড়ায় যে, দুই তিন রাকাত নামাজ পড়া যায়। কেননা, শরযী চফরে নামাজ হয় দুই রাকাত নচেৎ তিন রাকাত। এতটুকু অবসর অবশ্যই পাওয়া যায়। শরয়ী সফরে সুন্নত ও নফল পড়িতে না পারিলে তত বেশী দোষ নাই। কিন্তু ফরয, অ-জিব, সফরেও ছাড়িও না। আর যদি মেয়েদের জন্য নির্ধারিত গাড়িতে আরোহণ না করিয়া থাক, তবে তোমার স্বামী কিংবা তোমার মাহরাম আত্মীয় হয়ত নিকটেই বসা থাকিবে। সে নিশ্চয়ই তোমার কাছে জিম্মদার। মোট কথা, অটল ও দৃঢ় ইচ্ছার সম্মুখে কোন বাধা নাই। পুরুষই হউক আর স্ত্রী লোকই হউক, যে নেহায়েত দৃঢ়তার সহিত নামাজের পাবন্দ, সে সফরেও নামাজ যেরূপেই পারে পড়িয়া লইবে। রেলগাড়ি যদিও নিজের আয়ত্বে নহে কিন্তু নামাজ কাযা করিবার জন্য ইহা ওজর নহে। আমি খুব সুন্তুষ্ট যে, তুমি খুব ধরে সুস্থে নামাযের আরকান পূর্ণরূপে আদায় কর। আমি দোআ করি, আল্লাহ তা‘আলা তোমকে নেক কাজের আরও অধিক তৌফিক দান করুন। ফরজের সাথে সাথে সুন্নতে-মোআক্কাদারও পাবন্দ থাকিও সম্ভব হইলে হাদীস দ্বারা প্রমাণিত সুন্নত নামায পড়িও।
দেখতে পারেন। জরুরী নছহিত (৪র্থ খণ্ড)