বিসমিল্লাহির রহমানীর রহিম
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। তাহলে কাজের কথায় আসি।
৩য় খণ্ডের পরে।
তাহাজ্জুদের নামাযঃ
তাহাজ্জুদের নামাজের বহুত বড় ছওয়াব। আমাদের রাসূল (সঃ) সব সময় তাহাজ্জুদের নামাজ পড়িতেন। তাঁহার পবিত্র বিবিগণও তাহাজুজদের নামাজ পড়িতেন। তাহাজ্জুদের সময় দো’আ কবুল হয় এবং রহমত নাযিল হয়।
পতিভক্তিঃ
এখন তোমার ধর্মজীবন সম্বন্ধে কয়েকটি কথা আলোচনা করিব-স্ত্রীর উপর স্বামীর আদেশ পালন ফরজ। হাদীস শরীফে ইহার বহুত তাকিদ আসিয়াছে। রাসূল (সঃ) ফরমাইয়াছেন, যদি আমি কোন মানুষকে সাজদা করার আদেশ করিতাম, তবে রমনীদিগকে আদেশ করিতাম যে, তাহার যেন নিজ নিজ স্বামীকে সাজদা করে। কিন্তু আমাদের শরীয়তে যেহেতু তাযীমী ছাজদা হারাম, এই জন্য রাসূল (সঃ) কাহাকেও সাজদাহ করার অনুমতি দেন নাই। অত্র হাদীছের প্রতি লক্ষ্য করিয়া খেয়াল করা দরকার যে, শরীয়তে স্বামীর ফরমাবাদারীর আদেশ কত তাকীদ সহকারে করা হইয়াছে। যে নারী স্বামীর নাফরমান এবং স্বামী তাহার প্রতি অসন্তুষ্ট, এমন নারী আল্লাহর রহমত হইতে বহুদূরে থাকিবে যতক্ষণ সে তাহার স্বামীকে সন্তুষ্ট না করিবে। স্মরণ রাখিবে! যদি কোন স্বামী ফরয কাজ সমাধা করিলে নারাজ হয় তবে তৎপ্রতি পরওয়া করিবে না। কেননা “লা-ত আতা লিমাখ্লু কিন্ ফি-মা’ ছিয়াতিল্ খ-লিকি” অর্থাৎ আল্লাহর বিরুদ্ধে কাহারও ফরমাবর্দারী চলে না। এই হাসীদ খানা কয়েকবার বর্ণনা করা হইয়াছে। এখানেও শুধু স্মরণ করাইয়া দেওয়ার জন্য লিখিতে হইল। নচেৎ খোদা চাহেত, এইরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হইবে না। দেখতে পারেন। জরুরী নছহিত (৫ম খণ্ড)