আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ প্রিয় বন্ধুরা। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে শুকরিয়া যানাচ্ছি আমাকে এই পোষ্টটি করার তাওফিক দান করার জন্য। আমার পরিচয়, আমি মুসলিম। পবিত্র আল-কোরআন এবং সহীহ হাদীস ছাড়া অন্য কোন বাণী বা বাক্যে আমি বিশ্বাসী নই। দোয়া করি সকলেই যেন পবিত্র আল-কোরআন এবং সহীহ হাদীসের আলোকে নেক আমল করে যেতে পারেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
আসুন এখন মূল পোষ্টের আলোচনায় আসি………..
গত পোষ্টটি যারা পড়েন নি তারা এখান থেকে পড়ে নিন সহীহ্ বোখারী শরীফ (হাদিস ২১ থেকে ৩০)
পরিচ্ছেদ ২৩ :-যুলুমের প্রকারভেদ – হাদিস নং ৩১
হাদিস – ৩১
আবদুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রাঃ) থেকে বর্ননা করেনঃ “যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের ঈমানকে যুলুম দ্বারা কলুষিত করেনি” (৬:৮২) এ আয়াত নাযিল হলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সাহাবীগন বললেন, ‘আমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে যুলুম করে নি’? তখন আল্লাহতায়ালা এ আয়াত নাযিল করেনঃ “নিশ্চয়ই শিরক চরম যুলুম”। (৩১:১৩)
পরিচ্ছেদ ২৪ :-মুনাফিকের আলামত – হাদিস নং ৩২ এবং ৩৩
হাদিস – ৩২
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ মুনাফিকের আলামত তিনটিঃ
১। যখন কথা বলে মিথ্যা বলে;
২। যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে;
এবং
৩। আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে।
১। যখন কথা বলে মিথ্যা বলে;
২। যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে;
এবং
৩। আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে।
হাদিস – ৩৩
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্নিত, নবী করীম (সাঃ) বলেনঃ চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকে সে হবে খাঁটি মুনাফিক। যার মধ্যে এর কোন একটি স্বভাব থাকবে,
তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি স্বভাব থেকে যায়।
১। আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে
২। কথা বললে মিথ্যা বলে
৩। চুক্তি করলে ভঙ্গ করে এবং
৪। বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীল গালি দেয়।
তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি স্বভাব থেকে যায়।
১। আমানত রাখা হলে খেয়ানত করে
২। কথা বললে মিথ্যা বলে
৩। চুক্তি করলে ভঙ্গ করে এবং
৪। বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীল গালি দেয়।
পরিচ্ছেদ ২৫ :-লায়লাতুল কদরে ইবাদতে রাত্রি জাগরণ ঈমানের অন্তর্ভুক্ত – হাদিস নং ৩৪
হাদিস – ৩৪
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় লায়লাতুল কদর এ ইবাদতে রাত্রি জাগরণ
করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
করবে, তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
পরিচ্ছেদ ২৬ :-জিহাদ ঈমানের অন্তর্ভুক্ত – হাদিস নং ৩৫
হাদিস – ৩৫
আবু যুর’আ ইবনে ওমর ইবনে জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেনঃ আমি হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, তিনি ঈরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় বের হয়, যদি সে শুধু আল্লাহর উপর ঈমান এবং তাঁর রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাসের কারণে বের হয়ে থাকে, তবে আল্লাহতায়ালা ঘোষনা দেন যে, আমি তাকে ঘরে ফিরিয়ে আনব তার সওয়াব বা গণীমত (ও সওয়ার) সহ কিংবা তাকে জান্নাতে দাখিল করব। আর আমার উম্মতের উপর কষ্টদায়ক হবে বলে যদি মনে না করতাম তবে কোন সেনাদলের সাথে না গিয়ে বসে থাকতাম না। আমি অবশ্যই এটা পছন্দ করি যে, আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হই, আবার জীবিত হই, আবার শহীদ হই, আবার জীবিত হই, আবার শহীদ হই।
পরিচ্ছেদ ২৭ :-রমযানের রাতে নফল ইবাদত ঈমানের অংগ – হাদিস নং ৩৬
হাদিস – ৩৬
আবূ হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি রমযানের রাতে ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
পরিচ্ছেদ ২৮ :-সওয়াবের আশায় রমযানের সিয়াম পালন ঈমানের অংগ – হাদিস নং ৩৭
হাদিস – ৩৭
আবূ হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি রমযানের রাতে ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
পরিচ্ছেদ ২৯ :-দীন সহজ – হাদিস নং ৩৮
হাদিস – ৩৮
আবূ হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ নিশ্চয়ই দীন সহজ-সরল। দীন নিয়ে যে বাড়াবাড়ি করে দীন তার উপর বিজয়ী হয়। কাজেই তোমরা মধ্যপন্থা অবলম্বন কর এবং (মধ্যপন্থার) নিকটবর্তী থাক, আশান্বিত থাক এবং সকাল-সন্ধ্যায় ও রাতের কিছু অংশে (ইবাদতের মাধ্যমে)
সাহায্য চাও।
সাহায্য চাও।
পরিচ্ছেদ ৩০ :-সালাত ঈমানের অন্তর্ভুক্ত – হাদিস নং ৩৯
হাদিস – ৩৯
বা’রা (ইবনে আযিব) (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী করিম (সাঃ) মদীনায় হিযরত করে সর্বপ্রথম আনসারদের মধ্যে তাঁর নানাদের গোত্র (আবু ইসহাক (র) বা মামাদের গোত্রে এসে উঠেন। তিনি ষোল-সতের মাস বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে সালাত আদায় করেন। কিন্তু তাঁর পছন্দ ছিল যে, তার কিবলা বায়তুল্লাহর দিকে হোক। আর তিনি (বায়তুল্লাহর দিকে) প্রথম যে সালাত আদায় করেন, তা ছিল আসরের সালাত এবং তার সঙ্গে একদল লোক উক্ত সালাত আদায় করেন। তাঁর সঙ্গে যারা সালাত আদায় করেছিলেন তাঁদের একজন লোক বের হয়ে এক মসজিদে মুসল্লীদের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁরা তখন রূকুর অবস্থায় ছিলেন। তখন তিনি বললেনঃ আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি যে, এইমাত্র রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সঙ্গে মক্কার দিকে ফিরে সালাত আদায় করে এসেছি। তখন তাঁরা যে অবস্থায় ছিলেন সে অবস্থায়ই বায়তুল্লাহর দিকে ঘুরে গেলেন। রাসুলে করীম (সাঃ) যখন বায়তুল মোকাদ্দাস এর দিকে সালাত আদায় করতেন কখন ইয়াহুদিদের ও আহলি কিতাবদের কাছে এটা খুব ভাল লাগত; কিন্তু তিনি যখন বায়তুল্লাহর দিকে (সালাতের জন্য) তার মুখ ফিরালেন তখন তার এর প্রতি চরম আসন্তুষ্ট হল। যুহায়র (র) বলেন, আবূ ইসহাক (র) বা’রা (রাঃ) থেকে আমার কাছে যে হাদিস বর্ণনা করেছেন, তাতে এ কথাও রয়েছে যে, কিবলা পরিবর্তনের পূর্বে বেশ কিছু লোক ইন্তিকাল করেছিলেন এবং শহীদ হয়েছিলেন, তাদের ব্যাপারে আমরা কি বলব, বুঝতে পারছিলাম না, তখন আল্লাহতায়ালা নাযিল করেন: আল্লাহতায়ালা তোমাদের সালাতকে (যা বায়তুল মুকাদ্দাস এর
দিকে আদায় করা হয়েছিল) বিনষ্ট করবেন না।
দিকে আদায় করা হয়েছিল) বিনষ্ট করবেন না।
পরিচ্ছেদ ৩১ :-উত্তমরূপে ইসলাম গ্রহণ – হাদিস নং ৪০
হাদিস – ৪০
আবূ হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন উত্তমরূপে ইসলামের উপর কায়েম থাকে তখন সে যে নেক আমল করে তার প্রত্যেকটির বিনিময়ে সাতশ গুণ পর্যন্ত (সওয়াব) লেখা হয়। আর সে যে মন্দ কাজ করে তার প্রত্যেকটির বিনিময়ে তার ঠিক ততটুকুই মন্দ লেখা হয়।
দেখতে পারেন সহীহ্ বোখারী শরীফ (হাদিস ২১ থেকে ৩০)
দেখতে পারেন সহীহ্ বোখারী শরীফ (হাদিস ২১ থেকে ৩০)