দ্বীন ইসলামের প্রধান উৎস দুইটি, একটি হচ্ছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন এবং অপরটি হচ্ছে রাসূলের সুন্নাহ বা হাদীস। হাদীস এবং সুন্নাহর পরিচয় কি তা আমরা অনেকেই জানিনা। অথচ হাদীসের গুরুত্ব অপরিসীম। কু
রআনকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে হাদীস ছাড়া অন্যকোন উপায় নেই।
রআনকে সঠিকভাবে বুঝতে হলে হাদীস ছাড়া অন্যকোন উপায় নেই।
আজকে যে বিষয়টি প্রথম উল্লেখ করব সেটি হচ্ছে, হাদীস কাকে বলে?
কুরআনে হাদীস শব্দটির প্রয়োগ অনুসারে ও আভিধানিক দৃষ্টিতে এর অর্থ হলো- কথা, সংবাদ, বাণী, খবর, বর্ণনা, আধুনিক ইত্যাদি।
কুরআনে হাদীস শব্দটির প্রয়োগ অনুসারে ও আভিধানিক দৃষ্টিতে এর অর্থ হলো- কথা, সংবাদ, বাণী, খবর, বর্ণনা, আধুনিক ইত্যাদি।
আল্লাহ কুরআনে এরশাদ করেছেন- তারপর তারা কোনকথাকে বিশ্বাস করবে- (আরাফ:১৮৫) (এখানে হাদীসের অর্থ এসেছে ‘কথা’ হিসেবে)
তোমর কাছে মূসার খবর এসেছে কি? (নাযিয়াত: ১৫) (এখানে হাদীস শব্দটির অর্থ এসেছে ‘খবর’ হিসেবে)
তবে তোমার রবের নেয়ামরে বর্ণনা কর (দ্বোহা:১১) (এখানে হাদীস শব্দটির অর্থ এসেছে ‘বর্ণনা’ করা হিসেবে)
আরবী ভাষায় ব্যবহারের উদাহরণস্বরূপ বলা হয়ে থাকে: আমাদের কাছে আধুনিক ফার্নিচার পাওয়া যায়। (এখানে হাদীস শব্দটির অর্থ এসেছে ‘আধুনিক’ হিসেবে)
ইমাম রাগেব ইসপাহানী স্বীয় গ্রন্থ মুফরাদাতে বলেন:
অস্তিত্ববিহীন বস্তুর অস্তিত্ব লাভ করার নাম হাদীস ও হুদুস, সেটা শরীরী হোক কিংবা অশরীরী। শ্রবণ কিংবা অহীর সূত্রে ঘুমে অথবা জাগরণে মানুষের কাছে পৌছে এমন প্রত্যেক কথাকে হাদীস বলা হয়।
অস্তিত্ববিহীন বস্তুর অস্তিত্ব লাভ করার নাম হাদীস ও হুদুস, সেটা শরীরী হোক কিংবা অশরীরী। শ্রবণ কিংবা অহীর সূত্রে ঘুমে অথবা জাগরণে মানুষের কাছে পৌছে এমন প্রত্যেক কথাকে হাদীস বলা হয়।
শরীয়তের পরিভাষায় হাদীস শাস্ত্রের বিশারদগণ প্রায় সমার্থবোধক সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। শাহ আব্দুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী (র) বলেন:
সমগ্র মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় নবী (স) এর কথা, কাজ ও অনুমোদনকে হাদীস বলা হয়।
সমগ্র মুহাদ্দিসগণের পরিভাষায় নবী (স) এর কথা, কাজ ও অনুমোদনকে হাদীস বলা হয়।
বুখারীর ভূমিকায় বলা আছে:
হাদীস এমন জ্ঞান যার দ্বারা নবী (স) এর কথা, কাজ ও অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়।
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী বলেন: ইলমে হাদীস এক বিশেষ জ্ঞান যার মাধ্যমে নবীর কথা, কাজ ও অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া যায়।
হাদীস এমন জ্ঞান যার দ্বারা নবী (স) এর কথা, কাজ ও অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়।
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী বলেন: ইলমে হাদীস এক বিশেষ জ্ঞান যার মাধ্যমে নবীর কথা, কাজ ও অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া যায়।
উপরোল্লেখিত বর্ণনায় প্রামাণ হয় যে, রাসূল (স) তাঁর নবুয়্যতী জীবনে যা কিছু বলেছেন, করেছেন এবং অন্যের কথা বা কাজের অনুমোদন ও সমর্থন করেছেন তা হাদীস।