বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ প্রিয় বন্ধুরা। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে শুকরিয়া যানাচ্ছি আমাকে এই পোষ্টটি করার তাওফিক দান করার জন্য।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সহীহ্ বোখারী শরীফ (হাদিস ৮০ থেকে ৯২)
গত পোষ্টটি যারা পড়েন নি তারা এখান থেকে পড়ে নিনসহীহ্ বোখারী শরীফ (হাদিস ৭১ থেকে ৭৯)
পরিচ্ছেদ ৬৩ :-ইলম বিলুপ্তি ও মূর্খতার প্রসার – হাদিস নং ৮০ এবং ৮১
হাদিস –৮০
আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত,তিনি বলেন,রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন যে,কিয়ামতের কিছু নিদর্শন হলঃ ইলম কমে যাবে,অজ্ঞতার বিস্তৃতি ঘটবে,মদপান ব্যাপক হবে এবং ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে।
হাদিস –৮১
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,আমি তোমাদেরকে এমন একটি হাদিস বর্ণনা করব যা আমার পর তোমাদের কাছে আর কেউ বর্ণনা করবেনা।আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে বলতে শুনেছি যে, কিয়ামতের কিছু নিদর্শন হলঃ
ইলম কমে যাবে।
অজ্ঞতার প্রসার ঘটবে।
ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে।
স্ত্রীলোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে ও পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে এমনকি প্রতি ৫০ জন স্ত্রীলোকের জন্য মাত্র একজন পুরুষ হবে তত্ত্বাবধায়ক।
ইলম কমে যাবে।
অজ্ঞতার প্রসার ঘটবে।
ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে।
স্ত্রীলোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে ও পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে এমনকি প্রতি ৫০ জন স্ত্রীলোকের জন্য মাত্র একজন পুরুষ হবে তত্ত্বাবধায়ক।
পরিচ্ছেদ ৬৪ :-ইলমের ফযীলত – হাদিস নং ৮২
হাদিস –৮২
ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে বলতে শুনেছি,একবার আমি ঘুমিয়ে ছিলাম।তখন (স্বপ্নে)আমার কাছে এক পেয়ালা দুধ আনা হল।আমি তা পান করলাম (তার পরিতৃপ্তি আমার সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়ল)।এমনকি আমার মনে হতে লাগল যে,সে পরিতৃপ্তি আমার নখ দিয়ে বের হচ্ছে।এরপর যেটুকু অবশিষ্ট ছিল,তা আমি উমর ইবনুল খাত্তাবকে দিলাম।সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)জানতে চাইলেন,ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনি এই স্বপ্নের কি তাবির করেন?তিনি বললেন,তা হল ইলম।
পরিচ্ছেদ ৬৫ :-প্রানী বা অন্য বাহনে আসীন অবস্হায় ফতোয়া দেওয়া – হাদিস নং ৮৩
হাদিস –৮৩
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বিদায় হজ্জের দিন মিনায় মানুষের (প্রশ্নের উত্তর দানের) জন্য (বাহনের উপর) বসা ছিলেন।লোকে তার কাছে বিভিন্ন মাসয়ালা জিজ্ঞেস করছিল।এক ব্যাক্তি তার কাছে এসে বলল,আমি ভুলবশত কুরবানি করার আগেই মাথা মুন্ডিয়ে ফেলেছি।তিনি বললেনঃযবেহ কর,কোন ক্ষতি নেই।আর এক ব্যাক্তি এসে বলল,আমি ভুলবশত কঙ্কর নিক্ষেপ করার আগেই কুরবানি করে ফেলেছি।তিনি বললেনঃ কঙ্কর ছুড়ো,কোন অসুবিধা নেই।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর বলেন,নবীকে সে দিন আগে বা পরে যে কাজ সম্পর্কেই জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল,তিনি একথাই বলেছিলেনঃকর, কোন অসুবিধা নেই।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর বলেন,নবীকে সে দিন আগে বা পরে যে কাজ সম্পর্কেই জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল,তিনি একথাই বলেছিলেনঃকর, কোন অসুবিধা নেই।
পরিচ্ছেদ ৬৬ :-হাত ও মাথার ইশারায় মাসআলার জওয়াব দান – হাদিস নং ৮৪ এবং ৮৫ এবং ৮৬
হাদিস –৮৪
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেজে বর্নিত,হজ্জের সময় নবী (সাঃ) কে (নানা বিষয়ে) জিজ্ঞাসা করা হল।কোন একজন বলল,আমি কঙ্কর নিক্ষেপের পুর্বেই যবেহ করে ফেলেছি।ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন,তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হাত দিয়ে ইশারা করে বললেনঃকোন অসুবিধা নেই।আর এক ব্যাক্তি বলল, আমি যবেহ করার পুর্বে মাথা মুন্ডিয়ে ফেলেছি।তিনি হাত দিয়ে ইশারা করে বললেনঃকোন অসুবিধা নেই (যেহেতু ভুলবশত করা হয়েছে)।
হাদিস –৮৫
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,নবী করীম (সাঃ) বলেছেন,(শেষ যমানায়) ইলম তুলে নেয়া হবে,অজ্ঞতা ও ফিতনার প্রসার ঘটবে এবং ‘হারাজ’ বেড়ে যাবে।জিজ্ঞাসা করা হল,ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাঃ)! ‘হারাজ’ কি?তিনি হাত দিয়ে ইশারা করে বললেনঃ এ রকম।যেন তিনি এর দ্বারা হত্যা বুঝিয়েছিলেন।
হাদিস –৮৬
হযরত আসমা (রাঃ) থেকে বর্নিত,তিনি বলেন,আমি আয়েশা (রাঃ) এর কাছে এলাম,তিনি তখন সালাত আদায় করছিলেন।আমি বললাম।‘মানুষের কি হয়েছে?’তিনি আকাশের দিকে ইঙ্গিত করলেন (দেখ,সুর্য গ্রহণ লেগেছে).তখন সকল লোক (সূর্যগ্রহনের নামাজের জন্য) দাঁড়িয়ে রয়েছে।আয়েশা (রাঃ) বলেন,সুবহানাল্লাহ!আমি বললাম,এটা কি কোন নিদর্শন?তিনি মাথা দিয়ে ইশারা করলেন,হ্যাঁ।এরপর আমি (সালাতের) জন্য দাঁড়িয়ে গেলাম।এমনকি (সালাত এত দীর্ঘ ছিল যে) আমার বেহুঁশ হয়ে পড়ার উপক্রম হল।তাই আমি মাথায় পানি ঢালতে লাগলাম।পরে (সালাত শেষে) নবী (সাঃ) আল্লাহর হামদ ও সানা বর্ননা করলেন।এরপর বললেনঃযা কিছু আমাকে ইতিপুর্বে দেখেনো হয়নি।তা আমি আমার এ স্থানেই দেখতে পেয়েছি।এমনকি জান্নাত ও জাহান্নাম দেখেছি।এরপর আল্লাহ তায়ালা আমার কাছে অহী প্রেরণ করলেন, ‘তোমাদের কবরের মধ্যে পরিক্ষা করা হবে দাজ্জালের ন্যায় (কঠিন) পরিক্ষা অথবা তার কাছাকাছি’।
পরিচ্ছেদ ৬৭ :-আবদুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দলকে ঈমান ও ইলমের হিফাযত করা এবং পরবর্তীদেরকে তা অবহিত করার ব্যাপারে নবী (সাঃ)- এর উৎসাহ দান – হাদিস নং ৮৭
হাদিস –৮৭
আবু জামরা (র) থেকে বর্নিত,তিনি বলেন,আমি ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও লোকদের মধ্যে দোভাষীর কাজ করতাম।একদিন ইবনে আব্বাস (রাঃ) বললেন,আব্দুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দল নবী (সাঃ) এর কাছে এলে,তিনি বললেনঃ তোমরা কোন প্রতিনিধি দল?অথবা বললেনঃতোমরা কোন গোত্রের?তারা বলল,রাবীয়া গোত্রের।তিনি বললেনঃ মারহাবা।এ গোত্রের প্রতি অথবা এ প্রতিনিধি দলের প্রতি,এরা কোনরূপ অপদস্থ ও লাঞ্চিত না হয়েই এসেছে।তারা বলল,আমরা বহুদুর থেকে আপনার কাছে এসেছি।আর আমাদের ও আপনার মাঝে রয়েছে কাফিরদের এই ‘মুজার’ গোত্রের বাস।আমরা শাহ্রে-হারাম ছাড়া আপনার কাছে আসতে সক্ষম নই।সুতরাং আমাদের এমন কিছু নির্দেশ দিন, যা আমাদের পশ্চাতে যারা রয়েছে তাদের কাছে পৌছাতে এবং তার অসিলায় আমরা জান্নাতে পৌছতে পারি।তখন তিনি তাদের ৪টি কাজের নির্দেশ দিলেন এবং ৪টি কাজ থেকে নিষেধ করলেন।তাদের এক আল্লাহর উপর ঈমান আনার নির্দেশ দিলেন।তিনি বললেনঃ এক আল্লাহর উপর ইমান আনা কিরুপ হয় জান?তারা বলল, আল্লাহ ও তার রাসুল (সাঃ) ভালো জানেন।তিনি বললেন,তা হল এ সাক্ষ্য দেওয়া যে,আল্লাহ ছাড়া ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল,সালাত কায়েম করা,যাকাত দেয়া এবং রমযানের সিয়াম পালন করা আর তোমরা গনিমতের মাল থেকে এক-পঞ্চমাংশ দান করবে।আর তাদের নিষেধ করলেন শুকনো লাউয়ের খোল,সবুজ কলস এবং আলকাতরার পালিশকৃত পাত্র ব্যবহার করতে।শুবা বলেন,কখনো (আবু জামরা) খেজুর গাছ থেকে তৈরি পাত্রের কথাও বলেছেন।রাসুল (সাঃ) বললেনঃতোমরা এগুলো মনোযোগ সহকারে স্মরন রাখ এবং তোমাদের পশ্চাতে যারা রয়েছে তাদের কাছে পৌছে দাও।
পরিচ্ছেদ ৬৮ :-উদ্ভূত মাসআলার জন্য সফর করা এবং নিজের পরিজনদের শিক্ষা দেওয়া – হাদিস নং ৮৮
হাদিস –৮৮
উকবা ইবনুল হারিস (রাঃ) বর্ননা করেন,তিনি আবু ইহাব ইবনে আযীয (র) এর কন্যাকে বিবাহ করলে তার কাছে একজন স্ত্রীলোক এসে বলল,আমি উকবাকে এবং সে যাকে বিয়ে করেছে তাকে দুধ পান করিয়েছি।উকবা (রাঃ) তাকে বললেনঃ আমি জানিনা যে,তুমি আমাকে দুধ পান করিয়েছ।আর (ইতিপুর্বে) তুমি আমাকে এ কথা জানাওনি।এরপর তিনি মদিনায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে গেলেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলেন।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ এ কথার পর তুমি কিভাবে তার সাথে সংসার করবে?এরপর উকবা তার স্ত্রীকে আলাদা করে দিলেন এবং সে মহিলা অন্য স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হল।
পরিচ্ছেদ ৬৯ :-পালাক্রমে ইলম শিক্ষা করা – হাদিস নং ৮৯
হাদিস –৮৯
উমর (রাঃ) থেকে বর্নিত,তিনি বলেনঃ আমি ও আমার এক আনসারি প্রতিবেশী বনি উমাইয়্যা ইবনে যায়েদের মহল্লায় বাস করতাম।এ মহল্লাটি মদিনার উচু এলাকায় অবস্থিত।আমরা দু’জনে পালাক্রমে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর খিদমতে হাযির হতাম।তিনি একদিন আসতেন আর আমি একদিন আসতাম।আমি যেদিন আসতাম,সেদিনের প্রভৃতির খবর নিয়ে তাকে পৌছে দিতাম।আর তিনি যেদিন আসতেন সেদিন তিনি অনুরূপ করতেন।এরপর একদিন আমার আনসারি সঙ্গি তার পালার দিন এলেন এবং (সেখান থেকে ফিরে) আমার দরজায় খুব জোরে জোরে করাঘাত করতে লাগলেন।তিনি বললেন,এক বিরাট ঘটনা ঘটে গেছে।[রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তার স্ত্রীগণকে তালাক দিয়েছেন] আমি তখনি আমার কন্যা হাফসা (রাঃ) এর কাছে গেলাম।সে তখন কাঁদছিল।আমি বললাম,রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কি তোমাদের তালাক দিয়েছেন?সে বলল, ‘আমি জানিনা’ এরপর আমি নবী করীম (সাঃ) এর কাছে গেলাম এবং দাঁড়িয়ে থেকেই বললামঃ আপনি কি আপনার স্ত্রীদের তালাক দিয়েছেন?জবাবে তিনি বললেনঃ ‘না’।আমি তখন আল্লাহু আকবার বলে উঠলাম।
পরিচ্ছেদ ৭০ :-অপসন্দনীয় কিছু দেখলে ওয়ায-নসীহত বা শিক্ষাদানের সময় রাগ করা – হাদিস নং ৯০ এবং ৯১ এবং ৯২
হাদিস –৯০
আবু মাসউদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্নিত,তিনি বলেন, একবার এক ব্যক্তি বলল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি নামাজের জামাতে আসতে পারিনা।কারণ অমুক ব্যক্তি আমাদের নিয়ে খুব লম্বা করে সালাত আদায় করে থাকেন।’ (আবু মাসউদ আনসারী (রাঃ) বলেন) আমি নবী (সাঃ)কে কোন ওয়াজের মজলিশে সেদিনের তুলনায় বেশী রাগান্বিত হতে দেখেনি।তিনি বললেনঃ হে লোক সকল!তোমরা মানুষের মধ্যে বিরক্তির সৃষ্টি কর।অতএব,যে লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করবে সে যেন সংক্ষেপে করে।কারণ তাদের মধ্যে রোগী,দুর্বল ও কর্ম্ব্যস্ত লোক থাকেন।
হাদিস –৯১
যায়দ ইবনে খালিদ আল-জুহানি (রাঃ) থেকে বর্নিত যে,এক ব্যক্তি নবী করীম (সাঃ)কে হারানো বস্তু প্রাপ্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল।তিনি বললেনঃ তার বাধনের রশি অথবা বললেনঃথলে-ঝুলি ভালো করে চিনে রাখ।এরপর এক বছর পর্যন্ত তার ঘোষণা দিতে থাক।তারপর (মালিক পাওয়া না গেলে) তুমি তা ব্যবহার কর।এরপর যদি এর মালিক আসে তবে তাকে তা দিয়ে দিবে।সে বলল, ‘হারানো উঠ পাওয়া গেলে?’এ কথা শুনে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এমন রেগে গেলেন যে,তার চেহারা মুবারক লাল হয়ে গেল।অথবা বর্ননাকারি বলেন,তার মুখমন্ডল লাল হয়ে গেল।তিনি বললেনঃ উঠ নিয়ে তোমার কি হয়েছে?তার তো আছে পানির মশক ও শক্ত পা।পানির কাছে যেতে পারে আর গাছের লতা-পাতা খেতে পারে।তাই তাকে ছেড়ে দাও,যাতে তার মালিক তাকে পেয়ে যায়।সে বলল,হারানো বকরি পাওয়া গেলে? তিনি বললেনঃ সেটি তোমার,নয়ত তোমার ভাইয়ের,নয়ত বাঘের।
হাদিস –৯২
আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্নিত,তিনি বলেন,একবার নবী করীম (সাঃ) কে কয়েকটি অপছন্দনীয় বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল।প্রশ্নের সংখ্যা যখন বেশী হয়ে গেল,তখন তিনি রেগে গিয়ে লোকদের বললেনঃ তোমরা আমার কাছে যা ইচ্ছা প্রশ্ন কর।এক ব্যাক্তি বলল, ‘আমার পিতা কে?’তিনি বললেনঃ ‘তোমার পিতা হুযাফা।’আর এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ!আমার পিতা কে?’ তিনি বললেনঃ ‘তোমার পিতা হল শায়বার মাওলা (মুক্তিপ্রাপ্ত গোলাম) সালিম।’তখন হযরত উমর (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর চেহারার অবস্থা দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ!আমরা মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করছি।
আজ এই পর্যন্ত ই । ধন্যবাদ সকলকে । আল্লাহ হাফেজ