একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি: ১০ নয়, ২০ কলেজে আবেদন করা যাবে -

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১০টি নয়, এবার ২০ কলেজে আবেদন করা যাবে। শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে হয়রানি রোধে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. আশফাকুস সালেহীন রোববার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে। তিনি বলেন, ২০ কলেজের মধ্যে ১০টিতে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। বাকি ১০টিতে এসএমএসে আবেদন করতে হবে। প্রতি কলেজের জন্য আলাদা এসএমএসে আবেদন করতে হবে। মোট ১০ এসএমএসে ১০ কলেজে আবেদন করতে পারবে। তবে অনলাইনে এক আবেদনেই পছন্দের ১০ কলেজের নাম দেয়া যাবে। এবার সারা দেশে প্রায় ৪ হাজার কলেজে ১০ বোর্ডের ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৬০৫ শিক্ষার্থী ভর্তি  হবে।

বুয়েট এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সব বোর্ডের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী নিয়ে একটি জাতীয় মেধাতালিকা তৈরি হচ্ছে। ঢাকার একটি কলেজে যাতে দেশের যে কোনো বোর্ডের শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারে সেজন্য এ সুযোগ তৈরি হচ্ছে। একটি কলেজে যখন বিভিন্ন বোর্ডের শিক্ষার্থীরা আবেদন করবে, তখন  প্রয়োজন হবে জাতীয় মেধাতালিকার। অন্যথায় ভর্তির ক্ষেত্রে মেধার ক্রম নির্ধারণ করা যাবে না। এ কারণে সোমবার থেকে এই তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

ড. আসফাকুস সালেহীন বলেন, গত বছর ভর্তিতে মহাসংকট তৈরি হয়েছিল। সংকট নিরসনে এবার আবেদনের জন্য কলেজ সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি মাইগ্রেশনের রাস্তা বন্ধ করেছি।

তিনি আরও বলেন, এবার আমরা ভর্তির জন্য দুটি তালিকা প্রকাশ করব। একটি মেধাতালিকা, অপরটি অপেক্ষমাণ। দুটি তালিকাই একসঙ্গে প্রকাশিত হবে। মেধা এবং অপেক্ষমাণ তালিকার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ধরা যাক একটি কলেজে ২০০০ আসন আছে। এই কলেজে আবেদন পড়েছে ৫ হাজার। এর মধ্যে  প্রথম ২০০০ জন মেধাতালিকায় স্থান পাবে। বাকি ৩০০০ অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকবে। তিনি আরও বলেন, একজন ছাত্র ২০ কলেজে আবেদন করলে ২০ কলেজেই তার অবস্থান একই সময়ে জানতে পারবে। এতে করে কলেজ এবং শিক্ষার্থী উভয়ের ভোগান্তি কমবে। যদি কোনো কলেজ ভর্তিতে মেধাক্রম উপেক্ষা করে, তাহলে কলেজের এমপিও, স্বীকৃতি ও অনুমোদন বন্ধ করার মতো শাস্তি দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, একাদশ শেণিতে ভর্তি নীতিমালা ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী অনলাইনে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে www.xiclassadmission.gov.bd গিয়ে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে ১০ প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৫০ টাকা আর মোবাইল ফোনে এসএমএসে ১২০ টাকা ফি নেয়া হবে। আগামী ৯ জুন পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। পরে ১৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ভর্তি হওয়া যাবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া গত বছরের মতোই আছে। এবারের নতুনত্ব হচ্ছে, আবেদনের আগে টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে ভর্তি ফি জমা দিতে হবে। পরে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ বা এসএমএস করতে হবে। টাকা জমা হলে একটি ট্রানজেকশন নম্বর দেয়া হবে। ফরম পূরণে এ নম্বর লাগবে। ভর্তির মেধা তালিকা প্রকাশের সময় ছাত্রছাত্রীর মোবাইলে একটি পিন নম্বর যাবে। সেই পিন নম্বর নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে। তিনি আরও বলেন, ভুয়াদের ঠেকাতে আবেদন প্রক্রিয়ায় নতুনত্ব আনায় ওয়েবসাইটেও কিছুটা পরিবর্তন আসছে। এবার ভর্তি বদলি বা মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা থাকবে না।

ড. আসফাকুস সালেহীন বলেন, এবার অননুমোদিত ও মানহীন বেশকিছু কলেজে ভর্তি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে আবেদনের সময়ে ছাত্রছাত্রীদের ভালো করে কলেজের নাম ও ঠিকানা যাচাই করে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »