দুইশো ইঁদুর বাঁচাতে ৩,০০০ বিড়াল নিধন!
বিশ্বে ইঁদুরের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে বিড়াল ব্যবহার করা হলেও ব্যত্যায় ঘটেছে জাপানে।
দেশটির কাগুশিমা প্রদেশের তিন দ্বীপের ২০০ টি বিরল জাতের ইঁদুর বাঁচাতে ৩ হাজার বনবিড়াল নিধন করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
কাগুশিমা প্রদেশের আমামি, তকুনিশিমা ও রিওকু দ্বীপের বনবিড়াল ধরতে ইতোমধ্যে দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প চালু করেছে।
এ প্রকল্পের আওতায় ইঁদুরগুলোর সুরক্ষার জন্য বিড়াল ধরা হয়েছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে।
তকুনিশিমার ওই ইঁদুরগুলো বিরল প্রজাতির আখ্যা দিয়ে বন্য-প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগও এ অঞ্চলের মানুষদের বিড়াল ধরতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
হারুতাকা ওতানেবে নামক একজন বলেন, এই বন্য বিড়ালরা যখন ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে, তখন ইঁদুর ধরে খায়। এটি বিড়ালের দোষ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিড়ালগুলোর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করলে তারা ইঁদুর ধরত না।
এ অঞ্চলটিকে গত কয়েক বছর ধরে ওয়াল্ড হেরিটেজে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি করে আসছিল স্থানীয় এলাকাবাসী। কিন্তু বন্য বিড়ালের উৎপাতে তা করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেন ওসামু মিনোবি।
তিনি বলেন, এখানকার মানুষ তাদের ঘরের দরজা খুলে রাখে ফলে বিড়ালগুলো অনায়াসে যাতায়াত করে। তারা বিড়ালগুলো ধরে সিটি কর্পোরেশনের হাতে তুলে দিলে সমস্যা হতো না।
২৩ হাজার মানুষের এই লোকালয়ে ২০০ ইঁদুর আছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় সিটি কর্পোরেশন। আর এই বিড়ালগুলোকে ধরতে ২০১৪ সালে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছিল সেই প্রকল্পের আওতায় বিড়াল ধরতে পারলে তাদেরকে উপযুক্ত পারিশ্রমিকও দেয়া হত।
আগামি মার্চ পর্যন্ত এ প্রকল্পের আওতায় বিড়াল ধরা হবে বলে তারা উল্লেখ করেন।
সুত্রঃ bbc bangla.
সুত্রঃ bbc bangla.