পুলিশ 'সাফল্য' দাবি করছে, কিন্তু চার্জশিটমাত্র ৬টি।

বাংলাদেশের পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুল
হক দাবি করেছেন, গত তিন বছর বাংলাদেশে যে
৩৭টি জঙ্গী হামলা হয়েছে, তার ৩৪টিতেই পুলিশ
মুল ঘটনা উদঘাটন করতে পেরেছে।
ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এটাকে তাদের সাফল্য
হিসেবে বর্ননা করে তিনি বলেছেন, রহস্য উদঘাটন
মানে আসামী গ্রেফতার, দায়ী ব্যক্তিদের
সনাক্তকরণ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, আদালতে
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী - এগুলোই
বোঝানো হচ্ছে।
তিনি বলেন "এরপরও কেউ কেউ পুলিশের
অর্জনকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে চাইছে।"
তবে মি. হকের দেয়া তথ্যমতেই এ পর্যন্ত মাত্র
ছয়টি ঘটনায় চার্জশিট দেয়া হয়েছে। নিম্ন আদালতে
বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে একটি মাত্র ঘটনার -
যেটি হলো ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার
হত্যাকান্ড।
একের পর এক জঙ্গী হামলার প্রেক্ষাপটে
পুলিশের সামর্থ্য এবং আন্তরিকতা নিয়ে যখন প্রশ্ন
উঠছে তখনই এই সংবাদ সম্মেলন। মি. হক জঙ্গী
হামলার ঘটনাগুলোর মামলা কোনটি কি অবস্থায় আছে
তা তুলে ধরে দাবি করলেন, ৯০ ভাগ ঘটনার কারণ পুলিশ
সনাক্ত করেছে।
কিন্তু দেশটির মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে,
জড়িতদের সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না বলেই পুলিশ
চার্জশিট দিতে পারছে না।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নূর খান লিটন বলছেন,
চার্জশিট না দেয়াতে বোঝা যায় যে পুলিশ ধারণার
ভিত্তিতে এগুচ্ছে। যদি অপরাধী চিহ্নিতই হয়ে থাকে
তাহলে চার্জশিট দিতে পারছে না কেন?
"কোন কোন ক্ষেত্রে এমন হচ্ছে যে
সন্দেহভাজন হিসেবে কেউ আটক হলেও পরে
সে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসছে, কারণ পুলিশ
সন্দেহাতীতভাবে তা চিহ্নিত করতে পারে নি।"
বলেন মি. খান।
গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা আবদুল বাতেন
অবশ্য দাবি করছেন যে তদন্তে সময় লাগছে
বলেই চার্জশিট দিতে দেরি হচ্ছে।
নিহতদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন
হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ ব্যর্থ হচ্ছে
বলেই হত্যাকান্ড বন্ধ করা যাচ্ছে না।
কিন্তু পুলিশ প্রধান শহিদুল হক বলছেন, পুলিশের
তৎপরতা না থাকলে হয়তো এসব টার্গেট করে
হত্যাকান্ড আরো বেশি হতো।
bbc bangla.

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »