জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ফযীলত
:
মসজিদে গিয়ে ছালাত আদায় করা
মুমিনদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা‘আলা
বলেন, ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﺼَﻠِّﻴْﻦَ، ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﺻَﻠَﺎﺗِﻬِﻢْ ﺩَﺍﺋِﻤُﻮْﻥَ
‘ছালাত আদায়কারীগণ ব্যতীত, যারা
তাদের ছালাতের ক্ষেত্রে নিয়মিত’
(মা‘আরিজ ৭০/২২-২৩) । ইবনু মাসঊদ (রাঃ)
এ আয়াতের তাফসীরে বলেন, এর অর্থ
ছালাতের আবশ্যক বিষয় সমূহ সহ সময় মত
ছালাত আদায়কারীগণ।[1] অন্যত্র
আল্লাহ বলেন, ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﺻَﻼﺗِﻬِﻢْ ﻳُﺤَﺎﻓِﻈُﻮﻥَ،
ﺃُﻭﻟَﺌِﻚَ ﻓِﻲ ﺟَﻨَّﺎﺕٍ ﻣُﻜْﺮَﻣُﻮﻥَ ‘আর যারা নিজেদের
ছালাত হেফাযত করে, তারাই জান্নাত
সমূহে সম্মানিত হবে’ (মা‘আরিজ
৭০/৩৪-৩৫) । আর ছালাত হেফাযতের
অন্যতম মাধ্যম হ’ল জামা‘আতে ছালাত
আদায় করা। জামা‘আতে ছালাত
আদায়ের কতিপয় ফযীলত নিম্নে
আলোচনা করা হ’ল।-
ক. জামা‘আতে ছালাত আদায়ের
ছওয়াব পঁচিশ থেকে সাতাশ গুণ বেশী :
1- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﺻَﻼَﺓُ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﻓِﻰْ ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﺗَﺰِﻳْﺪُ ﻋَﻠَﻰ ﺻَﻼَﺗِﻪِ
ﻓِﻰْ ﺳُﻮْﻗِﻪِ ﻭَﺑَﻴْﺘِﻪِ ﺑِﻀْﻌًﺎ ﻭَﻋِﺸْﺮِﻳْﻦَ ﺩَﺭَﺟَﺔً، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻪُ ﺇِﺫَﺍ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ
ﻓَﺄَﺣْﺴَﻦَ ﺍﻟْﻮُﺿُﻮْﺀَ، ﺛُﻢَّ ﺃَﺗَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪَ، ﻻَ ﻳُﺮِﻳْﺪُ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ، ﻻَ
ﻳَﻨْﻬَﺰُﻩُ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓُ، ﻟَﻢْ ﻳَﺨْﻂُ ﺧَﻄْﻮَﺓً ﺇِﻻَّ ﺭُﻓِﻊَ ﺑِﻬَﺎ ﺩَﺭَﺟَﺔً، ﺃَﻭْ
ﺣُﻄَّﺖْ ﻋَﻨْﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﺧَﻄِﻴْﺌَﺔٌ، ﻭَﺍﻟْﻤَﻼَﺋِﻜَﺔُ ﺗُﺼَﻠِّﻰ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﻣَﺎ ﺩَﺍﻡَ
ﻓِﻰْ ﻣُﺼَﻼَّﻩُ ﺍﻟَّﺬِﻯْ ﻳُﺼَﻠِّﻰ ﻓِﻴْﻪِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻴْﻪِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺭْﺣَﻤْﻪُ،
ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﻳُﺤْﺪِﺙْ ﻓِﻴْﻪِ، ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﻳُﺆْﺫِ ﻓِﻴْﻪِ . ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻰْ ﺻَﻼَﺓٍ
ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧَﺖِ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓُ ﺗَﺤْﺒِﺴُﻪُ –
১. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের
কারো জামা‘আতে ছালাত আদায়ের
ছওয়াব, তার নিজের ঘরে ও বাজারে
আদায়কৃত ছালাতের ছওয়াবের চেয়ে
বিশ গুণেরও অধিক মর্যাদা সম্পন্ন। কারণ
সে যখন উত্তমরূপে ওযূ করে মসজিদে
আসে, ছালাত আদায় ছাড়া অন্য কোন
অভিপ্রায়ে আসে না এবং ছালাত ছাড়া
অন্য কিছুই তাকে উদ্বুদ্ধ করে না।
এমতাবস্থায় তার প্রতি কদমে একটি
মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি গুনাহ
ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর ফেরেশতাগণ ঐ
ব্যক্তির জন্য (এ মর্মে) দো‘আ করতে
থাকেন, যতক্ষণ সে ছালাত আদায়ের
স্থানে অবস্থান করে, হে আল্লাহ! আপনি
তার প্রতি অনুগ্রহ করুন, তার প্রতি রহম
করুন। যতক্ষণ না তার ওযূ ভঙ্গ হয় বা
কাউকে কষ্ট দেয়। তিনি আরো বলেন, ঐ
ব্যক্তি ছালাতরত গণ্য হবে, যতক্ষণ সে
ছালাতের অপেক্ষায় থাকে’।[2] অন্য
বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ﺻَﻼَﺓٌ
ﻣَﻊَ ﺍﻹِﻣَﺎﻡِ ﺃَﻓْﻀَﻞُ ﻣِﻦْ ﺧَﻤْﺲٍ ﻭَﻋِﺸْﺮِﻳْﻦَ ﺻَﻼَﺓً ﻳُﺼَﻠِّﻴْﻬَﺎ ﻭَﺣْﺪَﻩُ -
‘একাকী ছালাত আদায় করার চেয়ে
ইমামের সাথে জামা‘আতে ছালাত
আদায় করা ২৫ গুণ বেশী উত্তম’।[3]
2- ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻗَﺎﻝَ : ﺻَﻼَﺓُ ﺍﻟْﺠَﻤَﺎﻋَﺔِ ﺗَﻔْﻀُﻞُ ﺻَﻼَﺓَ ﺍﻟْﻔَﺬِّ ﺑِﺴَﺒْﻊٍ ﻭَﻋِﺸْﺮِﻳﻦَ
ﺩَﺭَﺟَﺔً-
২. আবদুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত,
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘জামা‘আতে
ছালাতের ফযীলত একাকী আদায়কৃত
ছালাত অপেক্ষা সাতাশ গুণ বেশী’।[4]
খ. জামা‘আতে লোক সংখ্যা বেশী
হ’লে ছওয়াব বেশী হবে :
৩- ﻋَﻦْ ﺃُﺑَﻲِّ ﺑْﻦِ ﻛَﻌْﺐٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﺻَﻠَّﻰ ﺑِﻨَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ
ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢَ، ﺛُﻢَّ ﺃَﻗْﺒَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﺑِﻮَﺟْﻬِﻪِ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺃَﺷَﺎﻫِﺪٌ
ﻓُﻠَﺎﻥٌ ﻭَﻓُﻠَﺎﻥٌ ﻭَﻓُﻠَﺎﻥٌ ﺣَﺘَّﻰ ﻋَﺪَّ ﺛَﻠَﺎﺛَﺔً : ﻛُﻞُّ ﺫَﻟِﻚَ ﻳَﻘُﻮْﻟُﻮْﻥَ ﻧَﻌَﻢْ،
ﻗَﺎﻝَ : ﺇِﻥَّ ﺃَﺛْﻘَﻞَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﻨَﺎﻓِﻘِﻴْﻦَ ﺻَﻠَﺎﺓُ ﺍﻟْﻌِﺸَﺎﺀِ، ﻭَﺻَﻠَﺎﺓُ
ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ، ﻭَﻟَﻮْ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮْﻥَ ﻣَﺎ ﻓِﻴْﻬِﻤَﺎ ﻷﺗَﻮْﻫُﻤﺎ ﻭَﻟَﻮْ ﺣَﺒْﻮًﺍ ﻭَﺍﻋْﻠَﻤُﻮْﺍ ﺃَﻥَّ
ﺍﻟﺼَّﻒَّ ﺍﻟْﻤُﻘَﺪَّﻡَ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺜَﻞِ ﺻَﻒِّ ﺍﻟْﻤَﻠَﺎﺋِﻜَﺔِ، ﻭﻟَﻮْ ﻋَﻠِﻤْﺘُﻢْ ﻓَﻀِﻴْﻠَﺘَﻪُ
ﻟَﺎﺑْﺘَﺪَﺭْﺗُﻤُﻮْﻩُ، ﻭَﺍﻋْﻠَﻤُﻮْﺍ ﺃَﻥَّ ﺻَﻠَﺎﺓَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ ﺃَﺯْﻛَﻰ ﻣِﻦْ
ﺻَﻠَﺎﺓِ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ ﻭَﺣْﺪَﻩُ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺻَﻠَﺎﺗَﻪُ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻠَﻴْﻦِ ﺃَﺯْﻛَﻰ ﻣِﻦْ
ﺻَﻠَﺎﺗِﻪِ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ، ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺜُﺮَ ﺃَﺣَﺐُّ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ –
৩. উবাই বিন কা‘ব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত
তিনি বলেন, একদা রাসূল (ছাঃ) ফজর
ছালাতে আমাদের ইমামতি করলেন।
অতঃপর আমাদের দিকে ঘুরে জিজ্ঞেস
করলেন, অমুক উপস্থিত, অমুক উপস্থিত,
অমুক উপস্থিত? এভাবে তিনজনের নাম
উল্লেখ করলেন। প্রত্যেকে উত্তরে বলল,
হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, ফজর ও এশার
ছালাত মুনাফিকদের উপর সবচাইতে
ভারী। মানুষ যদি জানত এ দুই ছালাতে
কিরূপ নেকী রয়েছে, তাহ’লে হামাগুড়ি
দিয়ে হ’লেও তাতে অংশগ্রহণ করত।
জেনে রেখ, ছালাতের প্রথম কাতার
ফেরেশতাদের কাতারের মত। তোমরা
যদি প্রথম কাতারের ফযীলত জানতে
তাহ’লে অবশ্যই দেঁŠড়ে যেতে। আরো
জেনে রেখ, দু’জনে জামা‘আতে ছালাত
আদায় করা উত্তম একা ছালাত আদায়
করার চেয়ে। তিনজনের জামা‘আত
দু’জনের জামা‘আত অপেক্ষা উত্তম।
জামা‘আতে মুছল্লী যত বেশী হবে,
আল্লাহর নিকটে তা তত বেশী প্রিয়তর
হবে’।[5]
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, জামা‘আতে
ছালাত আদায়ের ফযীলত একাকী
ছালাত আদায় অপেক্ষা ২৫ গুণ বেশী।
যদি লোক সংখ্যা বেশী হয় তাহ’লে
মসজিদে যে পরিমাণ লোক থাকবে ততগুণ
বেশী ছওয়াব পাবে। একজন লোক
জিজ্ঞেস করল, যদি লোক সংখ্যা দশ
হাযার হয়? তিনি বললেন, হ্যাঁ, চল্লিশ
হাযার হ’লেও।[6]
গ. মসজিদ হ’তে বাড়ির দূরত্ব বেশী
হ’লে ছওয়াব বেশী হবে :
4- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰْ ﻣُﻮْﺳَﻰ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ :
ﺃَﻋْﻈَﻢُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺃَﺟْﺮًﺍ ﻓِﻰ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺃَﺑْﻌَﺪُﻫُﻢْ ﻓَﺄَﺑْﻌَﺪُﻫُﻢْ ﻣَﻤْﺸًﻰ،
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻯْ ﻳَﻨْﺘَﻈِﺮُ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﺣَﺘَّﻰ ﻳُﺼَﻠِّﻴَﻬَﺎ ﻣَﻊَ ﺍﻹِﻣَﺎﻡِ ﺃَﻋْﻈَﻢُ ﺃَﺟْﺮًﺍ ﻣِﻦَ
ﺍﻟَّﺬِﻯ ﻳُﺼَﻠِّﻰ ﺛُﻢَّ ﻳَﻨَﺎﻡُ –
৪. আবু মূসা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন,
(মসজিদ হ’তে) যে যত অধিক দূরত্ব
অতিক্রম করে ছালাতে আসে, তার তত
বেশী ছওয়াব হবে। আর যে ব্যক্তি
ইমামের সঙ্গে ছালাত আদায় করা
পর্যন্ত অপেক্ষা করে, তার ছওয়াব সে
ব্যক্তির চেয়ে অধিক, যে একাকী
ছালাত আদায় করে ঘুমিয়ে পড়ে’।[7]
5- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰْ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ : ﻣَﻦْ ﺗَﻄَﻬَّﺮَ ﻓِﻰْ ﺑَﻴْﺘِﻪِ ﺛُﻢَّ ﻣَﺸَﻰ ﺇِﻟَﻰ ﺑَﻴْﺖٍ ﻣِّﻦْ ﺑُﻴُﻮْﺕِ ﺍﻟﻠﻪِ
ﻟِﻴَﻘْﻀِﻰَ ﻓَﺮِﻳْﻀَﺔً ﻣِّﻦْ ﻓَﺮَﺍﺋِﺾِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﺧَﻄْﻮَﺗَﺎﻩُ ﺇِﺣْﺪَﺍﻫُﻤَﺎ
ﺗَﺤُﻂُّ ﺧَﻄِﻴْﺌَﺔً ﻭَﺍﻷُﺧْﺮَﻯ ﺗَﺮْﻓَﻊُ ﺩَﺭَﺟَﺔً -
৫. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে
ব্যক্তি বাড়ি থেকে ওযূ করে আল্লাহর
কোন ঘরের দিকে এই উদ্দেশ্যে যাত্রা
করে যে, আল্লাহর নির্ধারিত কোন ফরয
ইবাদত (ছালাত) আদায় করবে, তাহ’লে
তার প্রতি দুই পদক্ষেপের মধ্যে একটিতে
একটি করে গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে
এবং অপরটিতে একটি করে মর্যাদা
উন্নত করা হবে’।[8]
6- ﻋَﻦْ ﺳَﻌِﻴْﺪِ ﺑْﻦِ ﺍﻟْﻤُﺴَﻴَّﺐِ ﻗَﺎﻝَ ﺣَﻀَﺮَ ﺭَﺟُﻼً ﻣِﻦَ ﺍﻷَﻧْﺼَﺎﺭِ
ﺍﻟْﻤَﻮْﺕُ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺇِﻧِّﻰْ ﻣُﺤَﺪِّﺛُﻜُﻢْ ﺣَﺪِﻳْﺜًﺎ ﻣَﺎ ﺃُﺣَﺪِّﺛُﻜُﻤُﻮْﻩُ ﺇِﻻَّ ﺍﺣْﺘِﺴَﺎﺑًﺎ
ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳَﻘُﻮﻝُ : ﺇِﺫَﺍ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ
ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓَﺄَﺣْﺴَﻦَ ﺍﻟْﻮُﺿُﻮﺀَ ﺛُﻢَّ ﺧَﺮَﺝَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﻟَﻢْ ﻳَﺮْﻓَﻊْ ﻗَﺪَﻣَﻪُ
ﺍﻟْﻴُﻤْﻨَﻰ ﺇِﻻَّ ﻛَﺘَﺐَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﻟَﻪُ ﺣَﺴَﻨَﺔً ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻀَﻊْ ﻗَﺪَﻣَﻪُ
ﺍﻟْﻴُﺴْﺮَﻯ ﺇِﻻَّ ﺣَﻂَّ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﻋَﻨْﻪُ ﺳَﻴِّﺌَﺔً ﻓَﻠْﻴُﻘَﺮِّﺏْ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﺃَﻭْ
ﻟِﻴُﺒَﻌِّﺪْ ﻓَﺈِﻥْ ﺃَﺗَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪَ ﻓَﺼَﻠَّﻰ ﻓِﻰْ ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﻏُﻔِﺮَ ﻟَﻪُ ﻓَﺈِﻥْ ﺃَﺗَﻰ
ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪَ ﻭَﻗَﺪْ ﺻَﻠَّﻮْﺍ ﺑَﻌْﻀًﺎ ﻭَﺑَﻘِﻰَ ﺑَﻌْﺾٌ ﺻَﻠَّﻰ ﻣَﺎ ﺃَﺩْﺭَﻙَ ﻭَﺃَﺗَﻢَّ ﻣَﺎ
ﺑَﻘِﻰَ ﻛَﺎﻥَ ﻛَﺬَﻟِﻚَ ﻓَﺈِﻥْ ﺃَﺗَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪَ ﻭَﻗَﺪْ ﺻَﻠَّﻮْﺍ ﻓَﺄَﺗَﻢَّ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ
ﻛَﺎﻥَ ﻛَﺬَﻟِﻚَ -
৬. সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রহঃ) হ’তে
বর্ণিত তিনি বলেন, এক আনছার
ছাহাবীর মৃত্যু উপস্থিত হ’লে তিনি
বলেন, আমি তোমাদের নিকট একটি
হাদীছ কেবল ছওয়াব অর্জনের জন্যই
বর্ণনা করতে চাই। আমি রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,
‘তোমাদের কেউ যখন ভালভাবে ওযূ করে
ছালাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়, তখন
সে তার ডান পা উঠানোর সাথে সাথেই
তার আমলনামায় একটি নেকী লিখিত
হয়। অতঃপর তার বাম পা ফেলার সাথে
সাথে তার একটি গুনাহ মাফ করা হয়।
অতএব যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে, সে তার
আবাসস্থল মসজিদের নিকটে বা দূরে
করতে পারে। অতঃপর ঐ ব্যক্তি মসজিদে
আগমনের পর জামা‘আতের সাথে ছালাত
আদায় করলে তার সমস্ত (ছগীরা) গুনাহ
ক্ষমা করে দেওয়া হয়। যদি সে মসজিদে
পেঁŠছতে পেঁŠছতে তারা কিছু অংশ
আদায় করে ফেলে এবং কিছু বাকী
থাকে, তাহ’লে সে ইমামের সাথে যতটুকু
পাবে ততটুকু আদায় করবে এবং যা বাকী
থাকবে তা পূর্ণ করবে। কিন্তু ছওয়াবের
ব্যাপারে ঐ ব্যক্তি পূর্ণ ছালাত প্রাপ্ত
ব্যক্তির মতো হবে। যদি সে মসজিদে
আসার পর দেখে যে, ইমাম তার ছালাত
শেষ করে ফেলেছে, তখন সে একাকী
ছালাত আদায় করবে। তবুও তাকে ক্ষমা
করা হবে’।[9]
৭- ﻋَﻦْ ﺃُﺑَﻰِّ ﺑْﻦِ ﻛَﻌْﺐٍ ﻗَﺎﻝَ ﻛَﺎﻥَ ﺭَﺟُﻞٌ ﻻَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺭَﺟُﻼً ﺃَﺑْﻌَﺪَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﻣِﻨْﻪُ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻻَ ﺗُﺨْﻄِﺌُﻪُ ﺻَﻼَﺓٌ، ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﻘِﻴْﻞَ ﻟَﻪُ ﺃَﻭْ ﻗُﻠْﺖُ
ﻟَﻪُ ﻟَﻮِ ﺍﺷْﺘَﺮَﻳْﺖَ ﺣِﻤَﺎﺭًﺍ ﺗَﺮْﻛَﺒُﻪُ ﻓِﻰ ﺍﻟﻈَّﻠْﻤَﺎﺀِ ﻭَﻓِﻰ ﺍﻟﺮَّﻣْﻀَﺎﺀِ. ﻗَﺎﻝَ
ﻣَﺎ ﻳَﺴُﺮُّﻧِﻰْ ﺃَﻥَّ ﻣَﻨْﺰِﻟِﻰْ ﺇِﻟَﻰ ﺟَﻨْﺐِ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺇِﻧِّﻰْ ﺃُﺭِﻳْﺪُ ﺃَﻥْ ﻳُﻜْﺘَﺐَ
ﻟِﻰْ ﻣَﻤْﺸَﺎﻯَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﻭَﺭُﺟُﻮْﻋِﻰْ ﺇِﺫَﺍ ﺭَﺟَﻌْﺖُ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﻫْﻠِﻰْ.
ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﻗَﺪْ ﺟَﻤَﻊَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻟَﻚَ
ﺫَﻟِﻚَ ﻛُﻠَّﻪُ -
৭. উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত
তিনি বলেন, এক (আনছার) লোক ছিলেন।
মসজিদ থেকে তার চাইতে দূরে কোন
ব্যক্তি অবস্থান করতেন বলে আমার
জানা নেই। তবুও তিনি কোন ওয়াক্ত
ছালাত (জামা‘আতে মসজিদে) আদায়
করতে ত্রুটি করতেন না। একদা তাকে
বলা হ’ল বা আমি তাকে বললাম, যদি
একটা গাধা ক্রয় করতেন এবং রাতের
অন্ধকারে ও উত্তপ্ত রাস্তায় তার উপর
আরোহণ করতেন (তাহ’লে ভাল হ’ত)! তিনি
বললেন, আমার বাসস্থান মসজিদের
পাশে হ’লেও তা আমাকে আনন্দ দিতে
পারত না। কারণ আমার মনস্কামনা এই
যে, মসজিদে যাবার ও নিজ বাড়ি
ফিরার সময় প্রতিটি পদক্ষেপের
বিনিময়ে যেন ছওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়।
রাসূল (ছাঃ) (তার এহেন নেকী অর্জনের
আগ্রহ দেখে) বললেন, ‘নিশ্চিতরূপে
আল্লাহ তোমার (ভাগ্যে) তার সমস্তই
জুটিয়েছেন’।[10]
ঘ. এশা ও ফজরের ছালাত জামা‘আতে
আদায়ের ফযীলত :
এশা ও ফজরের ছালাত জামা‘আতের
সাথে আদায় করলে সারা রাত জেগে
ইবাদত করার ছওয়াব পাওয়া যায়।
৮- ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻰ ﻋَﻤْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ : ﺩَﺧَﻞَ ﻋُﺜْﻤَﺎﻥُ ﺑْﻦُ
ﻋَﻔَّﺎﻥَ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪَ ﺑَﻌْﺪَ ﺻَﻼَﺓِ ﺍﻟْﻤَﻐْﺮِﺏِ ﻓَﻘَﻌَﺪَ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻓَﻘَﻌَﺪْﺕُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ
ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻳَﺎ ﺍﺑْﻦَ ﺃَﺧِﻰ ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻳَﻘُﻮﻝُ : ﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟْﻌِﺸَﺎﺀَ ﻓِﻰْ ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﻓَﻜَﺄَﻧَّﻤَﺎ ﻗَﺎﻡَ ﻧِﺼْﻒَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ
ﻭَﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢَ ﻓِﻰْ ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﻓَﻜَﺄَﻧَّﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞَ ﻛُﻠَّﻪُ -
৮. আব্দুর রহমান বিন আবী আমরাহ হ’তে
বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ওছমান ইবনু
আফফান (রাঃ) মাগরিব ছালাতের পর
মসজিদে প্রবেশ করলেন। তিনি একাকী
বসে পড়লেন। আমিও তাঁর পাশে বসে
গেলাম। তখন তিনি বললেন, হে ভাতিজা!
আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে
ব্যক্তি এশার ছালাত জামা‘আতে আদায়
করল, সে যেন অর্ধরাত্রি ছালাতে
কাটাল এবং যে ব্যক্তি ফজরের ছালাত
জামা‘আতে আদায় করল, সে যেন সমস্ত
রাত্রি ছালাতে অতিবাহিত করল’।[11]
ওমর (রাঃ) বলেন, ﻷَﻥْ ﺃَﺷْﻬَﺪَ ﺍﻟْﻌِﺸَﺎﺀَ ﻭَﺍﻟْﻔَﺠْﺮَ ﻓِﻲْ
ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﺃَﺣَﺐُّ ﺇﻟَﻲَّ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﺃُﺣْﻴِﻲَ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ . ‘এশা ও
ফজরের ছালাত জামা‘আতের সাথে
আদায় করা এ দু’সময়ের মধ্যে রাত জেগে
ইবাদত করা অপেক্ষা আমি উত্তম মনে
করি’।[12] আবুদ্দারদা (রাঃ)
অন্তিমকালে বলেন, ﺍﺳْﻤَﻌُﻮْﺍ، ﻭَﺑَﻠِّﻐُﻮْﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠْﻔَﻜُﻢْ :
ﺣَﺎﻓِﻈُﻮْﺍ ﻋَﻠَﻰ ﻫَﺎﺗَﻴْﻦِ ﺍﻟﺼَّﻼَﺗَﻴْﻦِ؛ ﺍﻟْﻌِﺸَﺎﺀِ ﻭَﺍﻟﺼُّﺒْﺢِ، ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮْﻥَ
ﻣَﺎ ﻓِﻴْﻬِﻤَﺎ ﻷَﺗَﻴْﺘُﻤُﻮْﻫُﻤَﺎ ﻭَﻟَﻮْ ﺣَﺒْﻮًﺍ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺮَﺍﻓِﻘِﻜُﻢْ ﻭَﺭُﻛَﺒِﻜُﻢْ .
‘তোমরা শোন এবং অনুপস্থিত লোকদের
নিকট সংবাদ পৌঁছে দাও। তোমরা এশা
ও ফজরের ছালাত যথাযথভাবে হেফাযত
করবে। এই দুই ছালাতে কি পরিমাণ
ছওয়াব রয়েছে তা যদি তোমরা জানতে
তাহ’লে হাঁটু ও কনুইয়ে ভর দিয়ে
হামাগুড়ি দিয়ে হ’লেও তাতে উপস্থিত
হ’তে’।[13]
ঙ. ছালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে
গমনকারী আল্লাহর মেহমান :
ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে
গমনকারী মুছললীগণ আল্লাহর মেহমান
হিসাবে গণ্য হয়। আল্লাহ তাঁর
মেহমানদের
উপহার স্বরূপ জান্নাত দিবেন।
9- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﻦْ
ﻏَﺪَﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﻭَﺭَﺍﺡَ ﺃَﻋَﺪَّ ﺍﻟﻠﻪُ ﻟَﻪُ ﻧُﺰُﻟَﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ﻛُﻠَّﻤَﺎ ﻏَﺪَﺍ
ﺃَﻭْ ﺭَﺍﺡَ –
৯. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি
সকালে ও সন্ধ্যায় যতবার মসজিদে যায়,
আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে
ততবার মেহমানদারীর ব্যবস্থা করে
রাখেন’।[14] ইমাম ইবনু বাত্ত্বাল বলেন,
অত্র হাদীছে জামা‘আতে উপস্থিত হ’তে
এবং নিয়মিত ছালাতের জন্য মসজিদে
যেতে উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা
আল্লাহ তা‘আলা যখন তার জন্য সকাল-
সন্ধ্যায় মেহমানদারীর ব্যবস্থা করেন,
তখন আল্লাহ তার জন্য কেমন ব্যবস্থা
করবেন তা সহজেই অনুমেয়। আর এ
মর্যাদা অর্জিত হবে জামা‘আতে
উপস্থিত হওয়া, ছওয়াবের প্রত্যাশা করা
ও নিয়ত বিশুদ্ধ করার মাধ্যমে।[15] ইমাম
ইবনু রজব (রহঃ) বলেন, হাদীছের অর্থ হ’ল-
যে ব্যক্তি ছালাতের জন্য মসজিদের
দিকে বের হ’ল সে আল্লাহর সাথে
সাক্ষাৎকারী। দিনের শুরু বা শেষে যখনই
সে মসজিদে যাবে তখনই আল্লাহ
মসজিদে তার জন্য মেহমানদারীর
ব্যবস্থা করবেন। হাফেয আবু মূসা
মাদীনী বলেন, ‘তোমাদের কেউ তার
প্রিয় ব্যক্তির সাথে সাক্ষাতের
উদ্দেশ্যে গেলে যেমন সে সর্বোচ্চ
চেষ্টা করে মেহমানদারী করে, তেমন
আল্লাহ করেন’।[16]
সালমান ফারেসী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত,
তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ﻣَﻦْ
ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲْ ﺑَﻴْﺘِﻪِ ﻓَﺄَﺣْﺴَﻦَ ﺍﻟْﻮُﺿُﻮْﺀَ، ﺛُﻢَّ ﺃَﺗَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪَ، ﻓَﻬُﻮَ ﺯَﺍﺋِﺮُ
ﺍﻟﻠﻪِ، ﻭَﺣَﻖٌّ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤَﺰُﻭْﺭِ ﺃَﻥْ ﻳُﻜْﺮِﻡَ ﺍﻟﺰَّﺍﺋِﺮَ - ‘যে ব্যক্তি
বাড়িতে উত্তমরূপে ওযূূ করল। অতঃপর
মসজিদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল, সে
আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎকারী। আর
মেযবানের জন্য আবশ্যক হ’ল মেহমানের
আতিথেয়তা প্রদান করা’।[17] অতএব
আল্লাহর মেহমান হ’তে হ’লে মসজিদে
গিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায়
করতে হবে।
চ. জামা‘আতে ছালাত আদায়কারীর
জাহান্নাম ও মুনাফিকী থেকে মুক্তি
লাভ :
জামা‘আতে ছালাত আদায় করলে দু’টি
জিনিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
একটি হ’ল জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং
অপরটি হ’ল নিফাক্ব তথা কপটতা থেকে
মুক্তি।
10- ﻋﻦ ﺃَﻧَﺲٍ ﺑْﻦِ ﻣَﺎﻟِﻚٍ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﻟِﻠَّﻪِ ﺃَﺭْﺑَﻌِﻴْﻦَ ﻳَﻮْﻣًﺎ ﻓِﻲْ ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﻳُﺪْﺭِﻙُ ﺍﻟﺘَّﻜْﺒِﻴْﺮَﺓَ
ﺍﻟْﺄُﻭﻟَﻰ ﻛُﺘِﺒَﺖْ ﻟَﻪُ ﺑَﺮَﺍﺀَﺗَﺎﻥِ ﺑَﺮَﺍﺀَﺓٌ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَﺑَﺮَﺍﺀَﺓٌ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﻔَﺎﻕِ -
১০. আনাস বিন মালেক (রাঃ) হ’তে
বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ)
বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ৪০
দিন তাকবীরে ঊলা (তাকবীরে
তাহরীমা) সহ জামা‘আতে ছালাত আদায়
করল, তার জন্য দু’টি মুক্তি লেখা হয়।
একটি হ’ল জাহান্নাম হ’তে মুক্তি।
অপরটি হ’ল নিফাক্ব হ’তে মুক্তি’।[18]
আল্লামা ত্বীবী অত্র হাদীছের
ব্যাখ্যায় বলেন, দুনিয়ায় তাকে
মুনাফিকের আমল করা থেকে নিরাপত্তা
দান করা হবে ও একনিষ্ঠভাবে আমল
করার তওফীক দান করা হবে। আর
পরকালে মুনাফিকদের যে শাস্তি
দেওয়া হবে তা থেকে রক্ষা করা হবে
এবং সে যে মুনাফিক নয় এ বিষয়ে
সাক্ষ্য দেওয়া হবে। কারণ মুনাফিকেরা
অমনোযোগী অবস্থায় ছালাতে দাঁড়ায়।
অত্র হাদীছে তাকবীরে ঊলার ফযীলত
বর্ণনা করা হয়েছে।[19]
ছ. জামা‘আতের প্রথম কাতারে
ছালাত আদায়ের ফযীলত :
প্রথম কাতারে ছালাত আদায় করা
মুমিনের কর্তব্য। প্রথম কাতারে ছালাত
আদায়ের জন্য ছাহাবীগণ প্রতিযোগিতা
করতেন। প্রথম কাতার ফেরেশতাদের
কাতারের মত। প্রথম কাতারে ছালাত
আদায়কারীর উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ
করেন ও তার জন্য ফেরেশতাগণ ক্ষমা
প্রার্থনা করেন।
11- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻮْ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻣَﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﻨِّﺪَﺍﺀِ ﻭَﺍﻟﺼَّﻒِّ ﺍﻷَﻭَّﻝِ، ﺛُﻢَّ ﻟَﻢْ
ﻳَﺠِﺪُﻭْﺍ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥْ ﻳَﺴْﺘَﻬِﻤُﻮْﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻻَﺳْﺘَﻬَﻤُﻮْﺍ، ﻭَﻟَﻮْ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮْﻥَ ﻣَﺎ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺘَّﻬْﺠِﻴْﺮِ ﻻَﺳْﺘَﺒَﻘُﻮْﺍ ﺇِﻟَﻴْﻪِ، ﻭَﻟَﻮْ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮْﻥَ ﻣَﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟْﻌَﺘَﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟﺼُّﺒْﺢِ
ﻷَﺗَﻮْﻫُﻤَﺎ ﻭَﻟَﻮْ ﺣَﺒْﻮًﺍ -
১১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যদি
লোকেরা জানত যে, আযান ও প্রথম
কাতারে ছালাত আদায়ে কি নেকী
রয়েছে, তাহ’লে তারা পরস্পরে
প্রতিযোগিতা করত। অনুরূপভাবে যদি
তারা জানত এশা ও ফজরের ছালাতে কি
নেকী রয়েছে, তবে তারা হামাগুড়ি
দিয়ে হ’লেও ঐ দুই ছালাতে আসত’।[20]
ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, যদি লোকেরা
আযানের ফযীলত, মর্যাদা ও উত্তম
প্রতিদান সম্পর্কে জানত, অতঃপর
সময়ের সংকীর্ণতা বা এক ওয়াক্তে
একটি আযানের কারণে তা অর্জন করার
সুযোগ না পেত, তাহ’লে তা অর্জন করার
জন্য লটারি করত। অনুরূপ প্রথম কাতারে
ছালাত আদায়ের ফযীলত সম্পর্কে তারা
যদি জানত এবং সবাই এক সাথে চলে
আসার কারণে জায়গা সংকীর্ণ হয়ে
যেত। অতঃপর একে অপরের প্রতি
উদারতা দেখিয়ে জায়গা ছেড়ে না
দিত, তাহ’লে তারা লটারি করত...। তদ্রূপ
এশা ও ফজরের ছালাতের ফযীলত
সম্পর্কে জানলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে
হ’লেও তাতে অংশ গ্রহণ করত।[21] ইবনু
রজব বলেন, আযান ও প্রথম কাতারে
ছালাত আদায়ে কি পরিমাণ মর্যাদা ও
ছওয়াব রয়েছে তারা যদি জানত, আর
লটারি ব্যতীত তা অর্জন করা অসম্ভব
হয়ে যেত, তাহ’লে তারা ফযীলত ও
পুরস্কার অর্জনের জন্য লটারি করে
হ’লেও তা অর্জন করার চেষ্টা করত।[22]
আবূ উমামা (রাঃ) বলেন, একদা
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻣَﻼَﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺼَّﻒِّ ﺍﻷَﻭَّﻝِ، ﻗَﺎﻟُﻮْﺍ : ﻳَﺎ
ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺜَّﺎﻧِﻰ ﻗَﺎﻝَ : ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻣَﻼَﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺼَّﻒِّ ﺍﻷَﻭَّﻝِ. ﻗَﺎﻟُﻮْﺍ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺜَّﺎﻧِﻰ، ﻗَﺎﻝ :
ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺜَّﺎﻧِﻰ -
‘ নিশ্চয়ই আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন ও তাঁর
ফেরেশতাগণ ক্ষমা প্রার্থনা করে
থাকেন প্রথম কাতারের মুছল্লীদের
জন্য। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর
রাসূল! দ্বিতীয় কাতারের উপর? তিনি
বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা রহমত
বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ ক্ষমা
প্রার্থনা করেন প্রথম কাতারে ছালাত
আদায়কারীদের জন্য। ছাহাবীগণ আবার
বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দ্বিতীয়
কাতারের উপর? তিনি বললেন, দ্বিতীয়
কাতারের উপরেও’।[23] অন্য হাদীছে
এসেছে,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻣَﻼَﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻠُﻮْﻥَ ﺍﻟﺼُّﻔُﻮْﻑَ ﺍﻷُﻭَﻝَ
ﻭَﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﺧَﻄْﻮَﺓٍ ﺃَﺣَﺐَّ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣِﻦْ ﺧَﻄْﻮَﺓٍ ﻳَﻤْﺸِﻴﻬَﺎ ﻳَﺼِﻞُ ﺑِﻬَﺎ
ﺻَﻔًّﺎ-
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা রহমত বর্ষণ
করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ ক্ষমা
প্রার্থনা করেন প্রথম কাতারে ছালাত
আদায়কারীদের জন্য। আর আল্লাহর
নিকট সর্বাধিক প্রিয় পদক্ষেপ ঐটি যা
কাতারে শামিল হওয়ার জন্য (বান্দা)
করে থাকে’।[24] অন্য বর্ণনায় রয়েছে,
একদা রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমরা কি
সেভাবে কাতারবদ্ধ হবে না, যেভাবে
ফেরেশতাগণ তাদের রবের সামনে
কাতারবদ্ধ হয়? ছাহাবীগণ বললেন, হে
আল্লাহর রাসূল! ফেরেশ কিভাবে
তাদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হন?
উত্তরে তিনি বললেন, তারা আগে প্রথম
কাতার পূরণ করেন। অতঃপর কাতারে
ঘেঁষে ঘেঁষে দাঁড়ান’।[25]
ইরবায ইবনু সারিয়া (রাঃ) বলেন, ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ
ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﻟِﻠﺼَّﻒِّ ﺍﻟْﻤُﻘَﺪَّﻡِ ﺛَﻼَﺛًﺎ
ﻭَﻟِﻠﺜَّﺎﻧِﻰ ﻣَﺮَّﺓً - ‘রাসূল (ছাঃ) প্রথম কাতারে
ছালাত আদায়কারীর জন্য তিনবার ক্ষমা
প্রার্থনা করেছেন এবং দ্বিতীয়
কাতারের জন্য একবার’।[26]
উপরের হাদীছগুলো থেকে বুঝা যায় যে,
স্বয়ং আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন এবং
আল্লাহর ফেরেশতাগণ ও রাসূল (ছাঃ)
প্রথম কাতার সমূহে ছালাত আদায়কারীর
জন্য রহমতের দো‘আ করেন। আর
জামা‘আতে ছালাত আদায় ব্যতীত
কাতারে আসার প্রশ্নই আসে না।
বারা ইবনু আযেব (রাঃ) বলেন,
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻣَﻼَﺋِﻜَﺘَﻪُ
ﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺼَّﻒِّ ﺍﻟْﻤُﻘَﺪَّﻡِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺆَﺫِّﻥُ ﻳُﻐْﻔَﺮُ ﻟَﻪُ ﺑِﻤَﺪِّ ﺻَﻮْﺗِﻪِ
ﻭَﻳُﺼَﺪِّﻗُﻪُ ﻣَﻦْ ﺳَﻤِﻌَﻪُ ﻣِﻦْ ﺭَﻃْﺐٍ ﻭَﻳَﺎﺑِﺲٍ ﻭَﻟَﻪُ ﻣِﺜْﻞُ ﺃَﺟْﺮِ ﻣَﻦْ
ﺻَﻠَّﻰ ﻣَﻌَﻪُ - ‘আল্লাহ রহমত নাযিল করেন ও
তাঁর ফেরেশতাগণ দো‘আ করেন প্রথম
কাতারের লোকদের জন্য। আর
মুওয়াযযিনের আওয়ায যতদূর যায় ততদূর
পর্যন্ত তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
জীব ও জড় পদার্থ যেই তার ধ্বনি শ্রবণ
করে, সেই তার পক্ষে সাক্ষ্য দেয়। আর
যে ব্যক্তি তার সাথে জামা‘আতে
ছালাত আদায় করে, তার জন্যও তদ্রূপ
ছওয়াব রয়েছে’।[27] অন্য বর্ণনায় রয়েছে,
সামনের কাতার সমূহের উপরে[28] ( ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﺼُّﻔُﻮْﻑِ ﺍﻟْﻤُﻘَﺪَّﻣَﺔِ )। উল্লেখ্য যে, পুরুষের জন্য
সামনের কাতারে ছালাত আদায় করা
উত্তম হ’লেও মহিলাদের জন্য পিছনের
কাতারে ছালাত আদায় করা উত্তম। আবু
হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষের জন্য সর্বোত্তম
কাতার হ’ল প্রথম কাতার এবং সর্বনিকৃষ্ট
কাতার হ’ল পিছনের কাতার। আর
মহিলাদের জন্য সর্বোত্তম কাতার হ’ল
পিছনের কাতার এবং সর্বনিকৃষ্ট প্রথম
কাতার’।[29]
জামা‘আত ও কাতার সম্পর্কে
জ্ঞাতব্য :
দু’জন মুছল্লী হ’লে জামা‘আত হবে। ইমাম
বামে ও মুক্তাদী ডানে দাঁড়াবে।[30]
তিনজন মুছল্লী হ’লে ইমাম সামনে এবং
দু’জন মুক্তাদী পিছনে দাঁড়াবে।[31] তবে
বিশেষ কারণে ইমামের দু’পাশে দু’জন
সমান্তরালভাবে দাঁড়াতে পারেন। তারা
বেশী হ’লে অবশ্যই পিছনে কাতার
দিবেন।[32] সামনের কাতারে পুরুষগণ ও
পিছনের কাতারে মহিলাগণ দাঁড়াবেন।
[33] পুরুষ সকলের ইমাম হবেন। কিন্তু নারী
কখনো পুরুষের ইমাম হবেন না। নারী ও
পুরুষ কখনোই পাশাপাশি দাঁড়াবেন না।
দু’জন বয়স্ক পুরুষ, একজন বালক ও একজন
মহিলা মুছল্লী হ’লে বয়স্ক একজন পুরুষ
ইমাম হবেন। তাঁর পিছনে উক্ত পুরুষ ও
বালকটি এবং সকলের পিছনে মহিলা
একাকী দাঁড়াবেন। আর যদি দু’জন পুরুষ ও
একজন মহিলা হন, তাহ’লে ইমামের ডানে
পুরুষ মুক্তাদী দাঁড়াবেন এবং পিছনে
মহিলা একাকী দাঁড়াবেন।[34] একজন পুরুষ
ও একজন মহিলা হ’লে সামনে পুরুষ ও
পিছনে মহিলা দাঁড়াবেন। ইমামকে
মধ্যবর্তী ধরে কাতার ডানে ও বামে
সমান করতে হবে। তবে ডাইনে সামান্য
বৃদ্ধি হবে। কিন্তু কোনক্রমেই ডান
প্রান্ত থেকে বা মসজিদের উত্তর
দেওয়াল থেকে ২য় ও পরবর্তী কাতার
সমূহ শুরু করা যাবে না। প্রয়োজনে ইমাম
উঁচুতে ও মুক্তাদীগণ নীচে দাঁড়াতে
পারেন।[35]
জ. জামা‘আতে ছালাত আদায়ের
উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে মসজিদে
যাওয়ার ফযীলত :
১৩- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰْ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﻻَ ﺃَﺩُﻟُّﻜُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺎ ﻳَﻤْﺤُﻮ ﺍﻟﻠﻪُ ﺑِﻪِ ﺍﻟْﺨَﻄَﺎﻳَﺎ ﻭَﻳَﺮْﻓَﻊُ ﺑِﻪِ
ﺍﻟﺪَّﺭَﺟَﺎﺕِ. ﻗَﺎﻟُﻮْﺍ ﺑَﻠَﻰ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ . ﻗَﺎﻝَ : ﺇِﺳْﺒَﺎﻍُ ﺍﻟْﻮُﺿُﻮْﺀِ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟْﻤَﻜَﺎﺭِﻩِ ﻭَﻛَﺜْﺮَﺓُ ﺍﻟْﺨُﻄَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴَﺎﺟِﺪِ ﻭَﺍﻧْﺘِﻈَﺎﺭُ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺑَﻌْﺪَ
ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﻓَﺬَﻟِﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎﻁُ، ﻓَﺬَﻟِﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎﻁُ، ﻓَﺬَﻟِﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎﻁُ –
১৩. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমি
কি তোমাদের এমন বস্তুর সন্ধান দিব না,
যা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা গুনাহ সমূহ দূর
করে দিবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে
দিবেন? তা হ’ল, কষ্টকর অবস্থায়ও
পূর্ণরূপে ওযূূ করা, মসজিদের দিকে অধিক
পদচারণা এবং এক ছালাতের পর অন্য
ছালাতের জন্য অপেক্ষা করা। এটাই
রিবাত, এটাই রিবাত, এটাই রিবাত’।[36]
এতে অর্থাৎ ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা
পাহারা দেয়ার ন্যায় ছওয়াব রয়েছে।
১৪- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰْ ﺃُﻣَﺎﻣَﺔَ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﻦْ ﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻦْ ﺑَﻴْﺘِﻪِ ﻣُﺘَﻄَﻬِّﺮًﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺻَﻼَﺓٍ ﻣَﻜْﺘُﻮْﺑَﺔٍ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ
ﻛَﺄَﺟْﺮِ ﺍﻟْﺤَﺎﺝِّ ﺍﻟْﻤُﺤْﺮِﻡِ، ﻭَﻣَﻦْ ﺧَﺮَﺝَ ﺇِﻟَﻰ ﺗَﺴْﺒِﻴْﺢِ ﺍﻟﻀُّﺤَﻰ ﻻَ
ﻳُﻨْﺼِﺒُﻪُ ﺇِﻻَّ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻛَﺄَﺟْﺮِ ﺍﻟْﻤُﻌْﺘَﻤِﺮِ، ﻭَﺻَﻼَﺓٌ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺛْﺮِ ﺻَﻼَﺓٍ
ﻻَ ﻟَﻐْﻮَ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻛِﺘَﺎﺏٌ ﻓِﻰْ ﻋِﻠِّﻴِّﻴْﻦَ -
১৪. আবূ উমামা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে
ব্যক্তি ওযূূ করে ফরয ছালাত আদায়ের
উদ্দেশ্যে মসজিদে যায়, সে ইহরামকারী
হাজীর অনুরূপ ছওয়াব পাবে। আর যে
ব্যক্তি কেবলমাত্র চাশতের ছালাত
আদায়ের জন্য মসজিদে যায় সে
ওমরাকারীর ন্যায় ছওয়াব প্রাপ্ত হবে।
যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত ছালাত আদায়ের
পর হ’তে পরের ওয়াক্ত ছালাত আদায়
করাকালীন সময়ের মধ্যে কোনরূপ
অপ্রয়োজনীয় কাজ ও কথাবার্তায় লিপ্ত
না হয়, তার আমলনামা (সপ্তাকাশে)
ইল্লিঈনে লিপিবদ্ধ হবে’।[37] অর্থাৎ সে
উচ্চমর্যাদার অধিকারী হবে।
১৫- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰْ ﺃُﻣَﺎﻣَﺔَ ﺍﻟْﺒَﺎﻫِﻠِﻰِّ ﻋَﻦْ ﺭَﺳُﻮْﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻗَﺎﻝَ : ﺛَﻼَﺛَﺔٌ ﻛُﻠُّﻬُﻢْ ﺿَﺎﻣِﻦٌ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﺭَﺟُﻞٌ
ﺧَﺮَﺝَ ﻏَﺎﺯِﻳًﺎ ﻓِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺿَﺎﻣِﻦٌ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺘَﻮَﻓَّﺎﻩُ
ﻓَﻴُﺪْﺧِﻠَﻪُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺃَﻭْ ﻳَﺮُﺩَّﻩُ ﺑِﻤَﺎ ﻧَﺎﻝَ ﻣِﻦْ ﺃَﺟْﺮٍ ﻭَﻏَﻨِﻴﻤَﺔٍ ﻭَﺭَﺟُﻞٌ ﺭَﺍﺡَ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺿَﺎﻣِﻦٌ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺘَﻮَﻓَّﺎﻩُ ﻓَﻴُﺪْﺧِﻠَﻪُ
ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺃَﻭْ ﻳَﺮُﺩَّﻩُ ﺑِﻤَﺎ ﻧَﺎﻝَ ﻣِﻦْ ﺃَﺟْﺮٍ ﻭَﻏَﻨِﻴﻤَﺔٍ ﻭَﺭَﺟُﻞٌ ﺩَﺧَﻞَ ﺑَﻴْﺘَﻪُ
ﺑِﺴَﻼَﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﺿَﺎﻣِﻦٌ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ –
১৫. আবূ উমামা আল-বাহেলী (রাঃ)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন যে,
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তিন প্রকার
লোকের প্রত্যেকেই মহান আল্লাহ
তা‘আলার যিম্মাদারীতে থাকে। ১. যে
আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বের হয়,
সে আল্লাহর যিম্মায় থাকে। সে মৃত্যুবরণ
করলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে
জান্নাতে প্রবেশ করান অথবা নিরাপদে
ফিরে এলে তাকে নেকী এবং গণীমতের
প্রাপ্য অংশ দান করেন। ২. যে ব্যক্তি
জামা‘আতে ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে
মসজিদের দিকে ধাবিত হয়, সেও
আল্লাহর যিম্মায় থাকে। এমতাবস্থায়
সে যদি মারা যায়, তবে আল্লাহ
তা‘আলা তাকে জান্নাত দান করেন। আর
মসজিদ হ’তে ফিরে এলে তার প্রাপ্য
ছওয়াব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের অংশীদার
করেন। ৩. যে ব্যক্তি নিজ বাড়িতে
প্রবেশ করার সময় পরিবারের
লোকজনকে সালাম দেয়, সেও মহান
আল্লাহর যিম্মায় থাকে’।[38]
১৬- ﻋَﻦْ ﺑُﺮَﻳْﺪَﺓَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗَﺎﻝَ : ﺑَﺸِّﺮِ
ﺍﻟْﻤَﺸَّﺎﺋِﻴْﻦَ ﻓِﻰ ﺍﻟﻈُّﻠَﻢِ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴَﺎﺟِﺪِ ﺑِﺎﻟﻨُّﻮْﺭِ ﺍﻟﺘَّﺎﻡِّ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ -
১৬. বুরায়দা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
হ’তে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘যারা
(জামা‘আতে ছালাত আদায়ের
উদ্দেশ্যে) অন্ধকার রাতে মসজিদে
পায়ে হেঁটে হাযির হয়, তাদেরকে
ক্বিয়ামতের দিনে পরিপূর্ণ নূরের
সুসংবাদ দাও’।[39] আল্লামা ত্বীবী
পরিপূর্ণ নূর এবং এটি ক্বিয়ামতের
দিনের জন্য খাছ হওয়ার ব্যাপারে বলেন,
ক্বিয়ামতের দিন মুমিনদের মুখমন্ডল
চমকাতে থাকবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা
বলেন, ﻧُﻮْﺭُﻫُﻢْ ﻳَﺴْﻌَﻰ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﻳْﺪِﻳْﻬِﻢْ ﻭَﺑِﺄَﻳْﻤَﺎﻧِﻬِﻢْ ﻳَﻘُﻮْﻟُﻮْﻥَ ﺭَﺑَّﻨَﺎ
ﺃَﺗْﻤِﻢْ ﻟَﻨَﺎ ﻧُﻮْﺭَﻧَﺎ ﻭَﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟَﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳْﺮٌ
‘তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানে
ধাবিত হবে। তারা বলবে, হে আমাদের
রব! আমাদের জন্য আমাদের নূর পূর্ণ করে
দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
নিশ্চয়ই আপনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান’।
[40]
১৭- ﻋَﻦْ ﻋُﺜْﻤَﺎﻥَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﺎ ﻣِﻦِ ﺍﻣْﺮِﺉٍ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ﺗَﺤْﻀُﺮُﻩُ ﺻَﻼَﺓٌ ﻣَﻜْﺘُﻮﺑَﺔٌ ﻓَﻴُﺤْﺴِﻦُ
ﻭُﺿُﻮﺀَﻫَﺎ ﻭَﺧُﺸُﻮﻋَﻬَﺎ ﻭَﺭُﻛُﻮﻋَﻬَﺎ ﺇِﻻَّ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓً ﻟِﻤَﺎ ﻗَﺒْﻠَﻬَﺎ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏِ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﻳُﺆْﺕِ ﻛَﺒِﻴﺮَﺓً ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺍﻟﺪَّﻫْﺮَ ﻛُﻠَّﻪُ -
১৭. ওছমান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যার
নিকটে ফরয ছালাতের ওয়াক্ত সমাগত
হবে। অতঃপর সে ঐ ছালাতের জন্য সুন্দর
করে ওযূ করবে। তারপর ছালাতে
উত্তমরূপে বিনয়-নম্রতা প্রদর্শন করবে
এবং উত্তমরূপে রুকূ করবে। তাহ’লে তার
ছালাত পূর্বে সংঘটিত পাপ-রাশির জন্য
কাফফারা হয়ে যাবে, যতক্ষণ সে কবীরা
গোনাহে লিপ্ত না হবে। আর এটা সারা
বছরের জন্য প্রযোজ্য’।[41]
১৮- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻣَﻦْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓَﺄَﺣْﺴَﻦَ ﻭُﺿُﻮْﺀَﻩُ ﺛُﻢَّ ﺭَﺍﺡَ ﻓَﻮَﺟَﺪَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻗَﺪْ
ﺻَﻠَّﻮْﺍ ﺃَﻋْﻄَﺎﻩُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻣِﺜْﻞَ ﺃَﺟْﺮِ ﻣَﻦْ ﺻَﻼَّﻫَﺎ ﺃَﻭْ ﺣَﻀَﺮَﻫَﺎ ﻻَ ﻳَﻨْﻘُﺺُ
ﺫَﻟِﻚَ ﻣِﻦْ ﺃُﺟُﻮﺭِﻫِﻢْ ﺷَﻴْﺌﺎً -
১৮. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে
ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযূূ করল। অতঃপর
মসজিদে গিয়ে দেখল যে, লোকজন
ছালাত আদায় করে ফেলেছে। আল্লাহ
তাকে ঐ ব্যক্তির ন্যায় পুরস্কার দিবেন,
যে ব্যক্তি ছালাত আদায় করেছে ও শুরু
থেকে উপস্থিত থেকেছে। তাদের নেকী
থেকে মোটেই কম করা হবে না’।[42]
19- ﻋَﻦْ ﺟَﺎﺑِﺮِ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻗَﺎﻝَ : ﺧَﻠَﺖِ ﺍﻟْﺒِﻘَﺎﻉُ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ،
ﻓَﺄَﺭَﺍﺩَ ﺑَﻨُﻮ ﺳَﻠِﻤَﺔَ ﺃَﻥْ ﻳَﻨْﺘَﻘِﻠُﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ ﻗُﺮْﺏِ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ، ﻓَﺒَﻠَﻎَ ﺫَﻟِﻚَ
ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ، ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟَﻬُﻢْ : ﺇِﻧَّﻪُ ﺑَﻠَﻐَﻨِﻰ
ﺃَﻧَّﻜُﻢْ ﺗُﺮِﻳْﺪُﻭْﻥَ ﺃَﻥْ ﺗَﻨْﺘَﻘِﻠُﻮْﺍ ﻗُﺮْﺏَ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ . ﻗَﺎﻟُﻮْﺍ ﻧَﻌَﻢْ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝَ
ﺍﻟﻠﻪِ! ﻗَﺪْ ﺃَﺭَﺩْﻧَﺎ ﺫَﻟِﻚَ . ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﻳَﺎ ﺑَﻨِﻰ ﺳَﻠِﻤَﺔَ ﺩِﻳَﺎﺭَﻛُﻢْ ﺗُﻜْﺘَﺐْ ﺁﺛَﺎﺭُﻛُﻢْ
ﺩِﻳَﺎﺭَﻛُﻢْ ﺗُﻜْﺘَﺐْ ﺁﺛَﺎﺭُﻛُﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻟُﻮْﺍ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺴُﺮُّﻧَﺎ ﺃَﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﺗَﺤَﻮَّﻟْﻨَﺎ -
১৯. জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে
বর্ণিত তিনি বলেন, মসজিদে নববীর
আশে-পাশে কিছু জায়গা খালি হ’ল। (এ
দেখে) বনু সালামাহ মসজিদে (নববী)-এর
নিকট স্থানান্তরিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ
করলেন। এ খবর রাসূল (ছাঃ) জানতে
পারলে তিনি তাদেরকে বললেন, ‘আমি
জানতে পেরেছি যে, তোমরা মসজিদের
নিকটে চলে আসার ইচ্ছা করছ!’ তারা
বলল, জী হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা
এমনটা ইচ্ছা করেছি। তিনি বললেন, ‘হে
বনু সালামাহ! তোমরা তোমাদের
বাড়ীতেই থাক। কেননা এতে (দূরত্বের
কারণে) মসজিদে আসতে তোমাদের
পদক্ষেপ বৃদ্ধি পাবে এবং তোমাদের
পদচিহ্ন সমূহ (তোমাদের আমলনামায়)
লিখিত হবে’। তারা বলল, (মসজিদের
নিকট) স্থানান্তরিত হওয়া আমাদেরকে
আনন্দ দিবে না'।[43]
(চলবে)
[1]. তাফসীরে ইবনু কাছীর, অত্র আয়াতের
তাফসীর দ্রষ্টব্য ৮/২২৬ ।
[2]. বুখারী হা/২১১৯; মুসলিম হা/৬৪৯ ।
[3]. মুসলিম হা/৬৪৯; মিশকাত
হা/১০৫২; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৮৪২ ।
[4]. বুখারী হা/৬৪৫; মিশকাত হা/১০৫২ ।
[5]. আবুদাঊদ হা/৫৫৪; ছহীহুল জামে‘
হা/২২৪২; মিশকাত হা/১০৬৬ ।
[6]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৮৪৮৫ ।
[7]. বুখারী হা/৬৫১; মুসলিম
হা/৬৬২;মিশকাত হা/৬৯৯ ।
[8]. মুসলিম হা/৬৬৬; ছহীহ তারগীব
হা/১১৮১ ।
[9]. আবুদাঊদ হা/৫৬৩; ছহীহুল জামে‘
হা/৪৪০; ছহীহ তারগীব হা/৩০১ ।
[10]. মুসলিম হা/৬৬৩; ছহীহ তারগীব
হা/৩০৮ ।
[11]. মুসলিম হা/৬৫৬; মিশকাত হা/৬৩০;
ছহীহ তারগীব হা/৪১৫ ।
[12]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩৭৭,৩৩৭৮;
শু‘আবুল ঈমান হা/২৮৭৮; ইবনু রজব, ফাতহুল
বারী ৬/৩৬, সনদ ছহীহ।
[13]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩৭৪, ৩৩৭৭,
৩৩৫৫; শু‘আবুল ঈমান হা/২৬১৯, সনদ ছহীহ।
[14]. বুখারী হা/৬৬২; মুসলিম হা/৬৬৯;
মিশকাত হা/৬৯৮ ।
[15]. ইবনু বাত্ত্বাল, শারহু ছহীহিল বুখারী
২/২৮৫ ।
[16]. ইবনু রজব, ফাতহুল বারী ৬/৫৩ ।
[17]. মু‘জামুল কাবীর হা/৬১৩৯; ছহীহ
তারগীব হা/৩২২; ছহীহাহ হা/১১৬৯ ।
[18]. তিরমিযী হা/২৪১; ছহীহ তারগীব
হা/৪০৯; ছহীহাহ হা/২৬৫২; ছহীহুল জামে‘
হা/৬৩৬৫; মিশকাত হা/১১৪৪ ।
[19]. মিরক্বাত ৩/৮৮০; মির‘আত ৪/১০২ ।
[20]. বুখারী হা/৬১৫; মুসলিম হা/৪৩৭;
মিশকাত হা/৬২৮ ‘ছালাতের ফযীলতসমূহ’
অনুচ্ছেদ-৩ ।
[21]. শারহুন নববী আলা মুসলিম ৪/১৫৮ ।
[22]. ইবনু রজব, ফাতহুল বারী ৫/২৮৬ ।
[23]. আহমাদ হা/২২৩১৭; ইবনু হিববান
হা/২১৫৮; ছহীহ তারগীব হা/৪৯১ ।
[24]. আবুদাঊদ হা/৫৪৩; ছহীহ তারগীব
হা/৫০৭ ।
[25]. মুসলিম হা/৪৩০; মিশকাত হা/১০৯১ ।
[26]. ইবনু মাজাহ হা/৯৯৬; তিরমিযী
হা/২২৪; ছহীহ তারগীব হা/৪৯০ ।
[27]. নাসাঈ হা/৬৪৬; আহমাদ হা/১৮৫২৯;
ছহীহ তারগীব হা/২৩৫ ।
[28]. নাসাঈ হা/৬৬১; ছহীহুল জামে‘
হা/১৮৪২ ।
[29]. মুসলিম হা/৪৪০, মিশকাত হা/১০৯২ ।
[30]. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত
হা/১১০৬, ‘দাঁড়ানোর স্থান’ অনুচ্ছেদ-২৫ ।
[31]. মুসলিম, মিশকাত হা/১১০৭,
অনুচ্ছেদ-২৫ ।
[32]. নাসাঈ হা/১০২৯; আবুদাঊদ হা/৬১৩;
ইরওয়া হা/৫৩৮, সনদ ছহীহ।
[33]. মুসলিম হা/৪৪০; মিশকাত হা/১০৯২;
আবুদাঊদ হা/৬৭৮ ‘ছালাত’ অধ্যায়- ২।
[34]. বুখারী হা/৭২৭; মিশকাত হা/১১০৮,
১১০৯, অনুচ্ছেদ-২৫ ।
[35]. হাকেম হা/৭৬০; ইরওয়া হা/৫৪৪;
আবুদাঊদ হা/৫৯৭, সনদ ছহীহ, অনুচ্ছেদ-৬৭ ।
[36]. মুসলিম হা/২৫১; মিশকাত হা/২৮২;
ছহীহুল জামে‘ হা/২৬১৮; ছহীহ তারগীব
হা/১৯২ ।
[37]. আবুদাঊদ হা/৫৫৮; ছহীহুল জামে‘
হা/৬২২৮; ছহীহ তারগীব হা/৩২০,৬৭৫;
মিশকাত হা/৭২৮ ।
[38]. আদাবুল মুফরাদ হা/১০৯৪; আবুদাউদ
হা/২৪৯৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৩০৫৩;
মিশকাত হা/৭২৭ ।
[39]. হাকেম হা/৭৬৮; আবুদাউদ হা/৫৬১;
ইবনু মাজাহ হা/৭৮১; ছহীহুল জামে‘
হা/২৮২৩; ছহীহ তারগীব হা/৩১৫,৩১৯,৪২৫;
মিশকাত হা/৭২১ ।
[40]. তাহরীম ৬৬/০৮; ত্বীবী, আল-কাশেফ
আন হাকায়েকিস সুনান ৩/৯৪১; মির‘আত
২/৪৩০; তুহফা ২/১৩ ।
[41]. আহমাদ হা/২২২৯১; মুসলিম হা/২২৮;
ছহীহ তারগীব হা/৩৬৪; মিশকাত হা/২৮৬।
[42]. আবুদাঊদ হা/৫৬৪; ছহীহ তারগীব
হা/৪১০; মিশকাত হা/১১৪৫, মিশকাত
হা/১১৪৫ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘মুক্তাদীর
কর্তব্য ও মাসবূকের হুকুম’ অনুচ্ছেদ-২৮ ।
[43]. মুসলিম হা/৬৬৫; ছহীহ তারগীব
হা/৩০৪; মিশকাত হা/৭০০; ‘মসজিদ সমূহ ও
ছালাতের স্থান সমূহ’ অনুচ্ছেদ ।
:
মসজিদে গিয়ে ছালাত আদায় করা
মুমিনদের বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ তা‘আলা
বলেন, ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﺼَﻠِّﻴْﻦَ، ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﺻَﻠَﺎﺗِﻬِﻢْ ﺩَﺍﺋِﻤُﻮْﻥَ
‘ছালাত আদায়কারীগণ ব্যতীত, যারা
তাদের ছালাতের ক্ষেত্রে নিয়মিত’
(মা‘আরিজ ৭০/২২-২৩) । ইবনু মাসঊদ (রাঃ)
এ আয়াতের তাফসীরে বলেন, এর অর্থ
ছালাতের আবশ্যক বিষয় সমূহ সহ সময় মত
ছালাত আদায়কারীগণ।[1] অন্যত্র
আল্লাহ বলেন, ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﺻَﻼﺗِﻬِﻢْ ﻳُﺤَﺎﻓِﻈُﻮﻥَ،
ﺃُﻭﻟَﺌِﻚَ ﻓِﻲ ﺟَﻨَّﺎﺕٍ ﻣُﻜْﺮَﻣُﻮﻥَ ‘আর যারা নিজেদের
ছালাত হেফাযত করে, তারাই জান্নাত
সমূহে সম্মানিত হবে’ (মা‘আরিজ
৭০/৩৪-৩৫) । আর ছালাত হেফাযতের
অন্যতম মাধ্যম হ’ল জামা‘আতে ছালাত
আদায় করা। জামা‘আতে ছালাত
আদায়ের কতিপয় ফযীলত নিম্নে
আলোচনা করা হ’ল।-
ক. জামা‘আতে ছালাত আদায়ের
ছওয়াব পঁচিশ থেকে সাতাশ গুণ বেশী :
1- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﺻَﻼَﺓُ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﻓِﻰْ ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﺗَﺰِﻳْﺪُ ﻋَﻠَﻰ ﺻَﻼَﺗِﻪِ
ﻓِﻰْ ﺳُﻮْﻗِﻪِ ﻭَﺑَﻴْﺘِﻪِ ﺑِﻀْﻌًﺎ ﻭَﻋِﺸْﺮِﻳْﻦَ ﺩَﺭَﺟَﺔً، ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻪُ ﺇِﺫَﺍ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ
ﻓَﺄَﺣْﺴَﻦَ ﺍﻟْﻮُﺿُﻮْﺀَ، ﺛُﻢَّ ﺃَﺗَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪَ، ﻻَ ﻳُﺮِﻳْﺪُ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ، ﻻَ
ﻳَﻨْﻬَﺰُﻩُ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓُ، ﻟَﻢْ ﻳَﺨْﻂُ ﺧَﻄْﻮَﺓً ﺇِﻻَّ ﺭُﻓِﻊَ ﺑِﻬَﺎ ﺩَﺭَﺟَﺔً، ﺃَﻭْ
ﺣُﻄَّﺖْ ﻋَﻨْﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﺧَﻄِﻴْﺌَﺔٌ، ﻭَﺍﻟْﻤَﻼَﺋِﻜَﺔُ ﺗُﺼَﻠِّﻰ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﺣَﺪِﻛُﻢْ ﻣَﺎ ﺩَﺍﻡَ
ﻓِﻰْ ﻣُﺼَﻼَّﻩُ ﺍﻟَّﺬِﻯْ ﻳُﺼَﻠِّﻰ ﻓِﻴْﻪِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻴْﻪِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺭْﺣَﻤْﻪُ،
ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﻳُﺤْﺪِﺙْ ﻓِﻴْﻪِ، ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﻳُﺆْﺫِ ﻓِﻴْﻪِ . ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻰْ ﺻَﻼَﺓٍ
ﻣَﺎ ﻛَﺎﻧَﺖِ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓُ ﺗَﺤْﺒِﺴُﻪُ –
১. আবূ হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমাদের
কারো জামা‘আতে ছালাত আদায়ের
ছওয়াব, তার নিজের ঘরে ও বাজারে
আদায়কৃত ছালাতের ছওয়াবের চেয়ে
বিশ গুণেরও অধিক মর্যাদা সম্পন্ন। কারণ
সে যখন উত্তমরূপে ওযূ করে মসজিদে
আসে, ছালাত আদায় ছাড়া অন্য কোন
অভিপ্রায়ে আসে না এবং ছালাত ছাড়া
অন্য কিছুই তাকে উদ্বুদ্ধ করে না।
এমতাবস্থায় তার প্রতি কদমে একটি
মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয় এবং একটি গুনাহ
ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর ফেরেশতাগণ ঐ
ব্যক্তির জন্য (এ মর্মে) দো‘আ করতে
থাকেন, যতক্ষণ সে ছালাত আদায়ের
স্থানে অবস্থান করে, হে আল্লাহ! আপনি
তার প্রতি অনুগ্রহ করুন, তার প্রতি রহম
করুন। যতক্ষণ না তার ওযূ ভঙ্গ হয় বা
কাউকে কষ্ট দেয়। তিনি আরো বলেন, ঐ
ব্যক্তি ছালাতরত গণ্য হবে, যতক্ষণ সে
ছালাতের অপেক্ষায় থাকে’।[2] অন্য
বর্ণনায় রয়েছে, রাসূল (ছাঃ) বলেন, ﺻَﻼَﺓٌ
ﻣَﻊَ ﺍﻹِﻣَﺎﻡِ ﺃَﻓْﻀَﻞُ ﻣِﻦْ ﺧَﻤْﺲٍ ﻭَﻋِﺸْﺮِﻳْﻦَ ﺻَﻼَﺓً ﻳُﺼَﻠِّﻴْﻬَﺎ ﻭَﺣْﺪَﻩُ -
‘একাকী ছালাত আদায় করার চেয়ে
ইমামের সাথে জামা‘আতে ছালাত
আদায় করা ২৫ গুণ বেশী উত্তম’।[3]
2- ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻗَﺎﻝَ : ﺻَﻼَﺓُ ﺍﻟْﺠَﻤَﺎﻋَﺔِ ﺗَﻔْﻀُﻞُ ﺻَﻼَﺓَ ﺍﻟْﻔَﺬِّ ﺑِﺴَﺒْﻊٍ ﻭَﻋِﺸْﺮِﻳﻦَ
ﺩَﺭَﺟَﺔً-
২. আবদুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত,
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘জামা‘আতে
ছালাতের ফযীলত একাকী আদায়কৃত
ছালাত অপেক্ষা সাতাশ গুণ বেশী’।[4]
খ. জামা‘আতে লোক সংখ্যা বেশী
হ’লে ছওয়াব বেশী হবে :
৩- ﻋَﻦْ ﺃُﺑَﻲِّ ﺑْﻦِ ﻛَﻌْﺐٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﺻَﻠَّﻰ ﺑِﻨَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ
ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢَ، ﺛُﻢَّ ﺃَﻗْﺒَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﺑِﻮَﺟْﻬِﻪِ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺃَﺷَﺎﻫِﺪٌ
ﻓُﻠَﺎﻥٌ ﻭَﻓُﻠَﺎﻥٌ ﻭَﻓُﻠَﺎﻥٌ ﺣَﺘَّﻰ ﻋَﺪَّ ﺛَﻠَﺎﺛَﺔً : ﻛُﻞُّ ﺫَﻟِﻚَ ﻳَﻘُﻮْﻟُﻮْﻥَ ﻧَﻌَﻢْ،
ﻗَﺎﻝَ : ﺇِﻥَّ ﺃَﺛْﻘَﻞَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤُﻨَﺎﻓِﻘِﻴْﻦَ ﺻَﻠَﺎﺓُ ﺍﻟْﻌِﺸَﺎﺀِ، ﻭَﺻَﻠَﺎﺓُ
ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ، ﻭَﻟَﻮْ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮْﻥَ ﻣَﺎ ﻓِﻴْﻬِﻤَﺎ ﻷﺗَﻮْﻫُﻤﺎ ﻭَﻟَﻮْ ﺣَﺒْﻮًﺍ ﻭَﺍﻋْﻠَﻤُﻮْﺍ ﺃَﻥَّ
ﺍﻟﺼَّﻒَّ ﺍﻟْﻤُﻘَﺪَّﻡَ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺜَﻞِ ﺻَﻒِّ ﺍﻟْﻤَﻠَﺎﺋِﻜَﺔِ، ﻭﻟَﻮْ ﻋَﻠِﻤْﺘُﻢْ ﻓَﻀِﻴْﻠَﺘَﻪُ
ﻟَﺎﺑْﺘَﺪَﺭْﺗُﻤُﻮْﻩُ، ﻭَﺍﻋْﻠَﻤُﻮْﺍ ﺃَﻥَّ ﺻَﻠَﺎﺓَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ ﺃَﺯْﻛَﻰ ﻣِﻦْ
ﺻَﻠَﺎﺓِ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ ﻭَﺣْﺪَﻩُ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺻَﻠَﺎﺗَﻪُ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻠَﻴْﻦِ ﺃَﺯْﻛَﻰ ﻣِﻦْ
ﺻَﻠَﺎﺗِﻪِ ﻣَﻊَ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ، ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺜُﺮَ ﺃَﺣَﺐُّ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ –
৩. উবাই বিন কা‘ব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত
তিনি বলেন, একদা রাসূল (ছাঃ) ফজর
ছালাতে আমাদের ইমামতি করলেন।
অতঃপর আমাদের দিকে ঘুরে জিজ্ঞেস
করলেন, অমুক উপস্থিত, অমুক উপস্থিত,
অমুক উপস্থিত? এভাবে তিনজনের নাম
উল্লেখ করলেন। প্রত্যেকে উত্তরে বলল,
হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, ফজর ও এশার
ছালাত মুনাফিকদের উপর সবচাইতে
ভারী। মানুষ যদি জানত এ দুই ছালাতে
কিরূপ নেকী রয়েছে, তাহ’লে হামাগুড়ি
দিয়ে হ’লেও তাতে অংশগ্রহণ করত।
জেনে রেখ, ছালাতের প্রথম কাতার
ফেরেশতাদের কাতারের মত। তোমরা
যদি প্রথম কাতারের ফযীলত জানতে
তাহ’লে অবশ্যই দেঁŠড়ে যেতে। আরো
জেনে রেখ, দু’জনে জামা‘আতে ছালাত
আদায় করা উত্তম একা ছালাত আদায়
করার চেয়ে। তিনজনের জামা‘আত
দু’জনের জামা‘আত অপেক্ষা উত্তম।
জামা‘আতে মুছল্লী যত বেশী হবে,
আল্লাহর নিকটে তা তত বেশী প্রিয়তর
হবে’।[5]
ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, জামা‘আতে
ছালাত আদায়ের ফযীলত একাকী
ছালাত আদায় অপেক্ষা ২৫ গুণ বেশী।
যদি লোক সংখ্যা বেশী হয় তাহ’লে
মসজিদে যে পরিমাণ লোক থাকবে ততগুণ
বেশী ছওয়াব পাবে। একজন লোক
জিজ্ঞেস করল, যদি লোক সংখ্যা দশ
হাযার হয়? তিনি বললেন, হ্যাঁ, চল্লিশ
হাযার হ’লেও।[6]
গ. মসজিদ হ’তে বাড়ির দূরত্ব বেশী
হ’লে ছওয়াব বেশী হবে :
4- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰْ ﻣُﻮْﺳَﻰ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ :
ﺃَﻋْﻈَﻢُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺃَﺟْﺮًﺍ ﻓِﻰ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺃَﺑْﻌَﺪُﻫُﻢْ ﻓَﺄَﺑْﻌَﺪُﻫُﻢْ ﻣَﻤْﺸًﻰ،
ﻭَﺍﻟَّﺬِﻯْ ﻳَﻨْﺘَﻈِﺮُ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ ﺣَﺘَّﻰ ﻳُﺼَﻠِّﻴَﻬَﺎ ﻣَﻊَ ﺍﻹِﻣَﺎﻡِ ﺃَﻋْﻈَﻢُ ﺃَﺟْﺮًﺍ ﻣِﻦَ
ﺍﻟَّﺬِﻯ ﻳُﺼَﻠِّﻰ ﺛُﻢَّ ﻳَﻨَﺎﻡُ –
৪. আবু মূসা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন,
(মসজিদ হ’তে) যে যত অধিক দূরত্ব
অতিক্রম করে ছালাতে আসে, তার তত
বেশী ছওয়াব হবে। আর যে ব্যক্তি
ইমামের সঙ্গে ছালাত আদায় করা
পর্যন্ত অপেক্ষা করে, তার ছওয়াব সে
ব্যক্তির চেয়ে অধিক, যে একাকী
ছালাত আদায় করে ঘুমিয়ে পড়ে’।[7]
5- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰْ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ : ﻣَﻦْ ﺗَﻄَﻬَّﺮَ ﻓِﻰْ ﺑَﻴْﺘِﻪِ ﺛُﻢَّ ﻣَﺸَﻰ ﺇِﻟَﻰ ﺑَﻴْﺖٍ ﻣِّﻦْ ﺑُﻴُﻮْﺕِ ﺍﻟﻠﻪِ
ﻟِﻴَﻘْﻀِﻰَ ﻓَﺮِﻳْﻀَﺔً ﻣِّﻦْ ﻓَﺮَﺍﺋِﺾِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﺧَﻄْﻮَﺗَﺎﻩُ ﺇِﺣْﺪَﺍﻫُﻤَﺎ
ﺗَﺤُﻂُّ ﺧَﻄِﻴْﺌَﺔً ﻭَﺍﻷُﺧْﺮَﻯ ﺗَﺮْﻓَﻊُ ﺩَﺭَﺟَﺔً -
৫. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে
ব্যক্তি বাড়ি থেকে ওযূ করে আল্লাহর
কোন ঘরের দিকে এই উদ্দেশ্যে যাত্রা
করে যে, আল্লাহর নির্ধারিত কোন ফরয
ইবাদত (ছালাত) আদায় করবে, তাহ’লে
তার প্রতি দুই পদক্ষেপের মধ্যে একটিতে
একটি করে গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে
এবং অপরটিতে একটি করে মর্যাদা
উন্নত করা হবে’।[8]
6- ﻋَﻦْ ﺳَﻌِﻴْﺪِ ﺑْﻦِ ﺍﻟْﻤُﺴَﻴَّﺐِ ﻗَﺎﻝَ ﺣَﻀَﺮَ ﺭَﺟُﻼً ﻣِﻦَ ﺍﻷَﻧْﺼَﺎﺭِ
ﺍﻟْﻤَﻮْﺕُ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺇِﻧِّﻰْ ﻣُﺤَﺪِّﺛُﻜُﻢْ ﺣَﺪِﻳْﺜًﺎ ﻣَﺎ ﺃُﺣَﺪِّﺛُﻜُﻤُﻮْﻩُ ﺇِﻻَّ ﺍﺣْﺘِﺴَﺎﺑًﺎ
ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳَﻘُﻮﻝُ : ﺇِﺫَﺍ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ
ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓَﺄَﺣْﺴَﻦَ ﺍﻟْﻮُﺿُﻮﺀَ ﺛُﻢَّ ﺧَﺮَﺝَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﻟَﻢْ ﻳَﺮْﻓَﻊْ ﻗَﺪَﻣَﻪُ
ﺍﻟْﻴُﻤْﻨَﻰ ﺇِﻻَّ ﻛَﺘَﺐَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﻟَﻪُ ﺣَﺴَﻨَﺔً ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻀَﻊْ ﻗَﺪَﻣَﻪُ
ﺍﻟْﻴُﺴْﺮَﻯ ﺇِﻻَّ ﺣَﻂَّ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﻋَﻨْﻪُ ﺳَﻴِّﺌَﺔً ﻓَﻠْﻴُﻘَﺮِّﺏْ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﺃَﻭْ
ﻟِﻴُﺒَﻌِّﺪْ ﻓَﺈِﻥْ ﺃَﺗَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪَ ﻓَﺼَﻠَّﻰ ﻓِﻰْ ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﻏُﻔِﺮَ ﻟَﻪُ ﻓَﺈِﻥْ ﺃَﺗَﻰ
ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪَ ﻭَﻗَﺪْ ﺻَﻠَّﻮْﺍ ﺑَﻌْﻀًﺎ ﻭَﺑَﻘِﻰَ ﺑَﻌْﺾٌ ﺻَﻠَّﻰ ﻣَﺎ ﺃَﺩْﺭَﻙَ ﻭَﺃَﺗَﻢَّ ﻣَﺎ
ﺑَﻘِﻰَ ﻛَﺎﻥَ ﻛَﺬَﻟِﻚَ ﻓَﺈِﻥْ ﺃَﺗَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪَ ﻭَﻗَﺪْ ﺻَﻠَّﻮْﺍ ﻓَﺄَﺗَﻢَّ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓَ
ﻛَﺎﻥَ ﻛَﺬَﻟِﻚَ -
৬. সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব (রহঃ) হ’তে
বর্ণিত তিনি বলেন, এক আনছার
ছাহাবীর মৃত্যু উপস্থিত হ’লে তিনি
বলেন, আমি তোমাদের নিকট একটি
হাদীছ কেবল ছওয়াব অর্জনের জন্যই
বর্ণনা করতে চাই। আমি রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন,
‘তোমাদের কেউ যখন ভালভাবে ওযূ করে
ছালাতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়, তখন
সে তার ডান পা উঠানোর সাথে সাথেই
তার আমলনামায় একটি নেকী লিখিত
হয়। অতঃপর তার বাম পা ফেলার সাথে
সাথে তার একটি গুনাহ মাফ করা হয়।
অতএব যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে, সে তার
আবাসস্থল মসজিদের নিকটে বা দূরে
করতে পারে। অতঃপর ঐ ব্যক্তি মসজিদে
আগমনের পর জামা‘আতের সাথে ছালাত
আদায় করলে তার সমস্ত (ছগীরা) গুনাহ
ক্ষমা করে দেওয়া হয়। যদি সে মসজিদে
পেঁŠছতে পেঁŠছতে তারা কিছু অংশ
আদায় করে ফেলে এবং কিছু বাকী
থাকে, তাহ’লে সে ইমামের সাথে যতটুকু
পাবে ততটুকু আদায় করবে এবং যা বাকী
থাকবে তা পূর্ণ করবে। কিন্তু ছওয়াবের
ব্যাপারে ঐ ব্যক্তি পূর্ণ ছালাত প্রাপ্ত
ব্যক্তির মতো হবে। যদি সে মসজিদে
আসার পর দেখে যে, ইমাম তার ছালাত
শেষ করে ফেলেছে, তখন সে একাকী
ছালাত আদায় করবে। তবুও তাকে ক্ষমা
করা হবে’।[9]
৭- ﻋَﻦْ ﺃُﺑَﻰِّ ﺑْﻦِ ﻛَﻌْﺐٍ ﻗَﺎﻝَ ﻛَﺎﻥَ ﺭَﺟُﻞٌ ﻻَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺭَﺟُﻼً ﺃَﺑْﻌَﺪَ ﻣِﻦَ
ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﻣِﻨْﻪُ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﻻَ ﺗُﺨْﻄِﺌُﻪُ ﺻَﻼَﺓٌ، ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﻘِﻴْﻞَ ﻟَﻪُ ﺃَﻭْ ﻗُﻠْﺖُ
ﻟَﻪُ ﻟَﻮِ ﺍﺷْﺘَﺮَﻳْﺖَ ﺣِﻤَﺎﺭًﺍ ﺗَﺮْﻛَﺒُﻪُ ﻓِﻰ ﺍﻟﻈَّﻠْﻤَﺎﺀِ ﻭَﻓِﻰ ﺍﻟﺮَّﻣْﻀَﺎﺀِ. ﻗَﺎﻝَ
ﻣَﺎ ﻳَﺴُﺮُّﻧِﻰْ ﺃَﻥَّ ﻣَﻨْﺰِﻟِﻰْ ﺇِﻟَﻰ ﺟَﻨْﺐِ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺇِﻧِّﻰْ ﺃُﺭِﻳْﺪُ ﺃَﻥْ ﻳُﻜْﺘَﺐَ
ﻟِﻰْ ﻣَﻤْﺸَﺎﻯَ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﻭَﺭُﺟُﻮْﻋِﻰْ ﺇِﺫَﺍ ﺭَﺟَﻌْﺖُ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﻫْﻠِﻰْ.
ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﻗَﺪْ ﺟَﻤَﻊَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻟَﻚَ
ﺫَﻟِﻚَ ﻛُﻠَّﻪُ -
৭. উবাই ইবনে কা‘ব (রাঃ) হ’তে বর্ণিত
তিনি বলেন, এক (আনছার) লোক ছিলেন।
মসজিদ থেকে তার চাইতে দূরে কোন
ব্যক্তি অবস্থান করতেন বলে আমার
জানা নেই। তবুও তিনি কোন ওয়াক্ত
ছালাত (জামা‘আতে মসজিদে) আদায়
করতে ত্রুটি করতেন না। একদা তাকে
বলা হ’ল বা আমি তাকে বললাম, যদি
একটা গাধা ক্রয় করতেন এবং রাতের
অন্ধকারে ও উত্তপ্ত রাস্তায় তার উপর
আরোহণ করতেন (তাহ’লে ভাল হ’ত)! তিনি
বললেন, আমার বাসস্থান মসজিদের
পাশে হ’লেও তা আমাকে আনন্দ দিতে
পারত না। কারণ আমার মনস্কামনা এই
যে, মসজিদে যাবার ও নিজ বাড়ি
ফিরার সময় প্রতিটি পদক্ষেপের
বিনিময়ে যেন ছওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়।
রাসূল (ছাঃ) (তার এহেন নেকী অর্জনের
আগ্রহ দেখে) বললেন, ‘নিশ্চিতরূপে
আল্লাহ তোমার (ভাগ্যে) তার সমস্তই
জুটিয়েছেন’।[10]
ঘ. এশা ও ফজরের ছালাত জামা‘আতে
আদায়ের ফযীলত :
এশা ও ফজরের ছালাত জামা‘আতের
সাথে আদায় করলে সারা রাত জেগে
ইবাদত করার ছওয়াব পাওয়া যায়।
৮- ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺑْﻦُ ﺃَﺑِﻰ ﻋَﻤْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ : ﺩَﺧَﻞَ ﻋُﺜْﻤَﺎﻥُ ﺑْﻦُ
ﻋَﻔَّﺎﻥَ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪَ ﺑَﻌْﺪَ ﺻَﻼَﺓِ ﺍﻟْﻤَﻐْﺮِﺏِ ﻓَﻘَﻌَﺪَ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻓَﻘَﻌَﺪْﺕُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ
ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻳَﺎ ﺍﺑْﻦَ ﺃَﺧِﻰ ﺳَﻤِﻌْﺖُ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻳَﻘُﻮﻝُ : ﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟْﻌِﺸَﺎﺀَ ﻓِﻰْ ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﻓَﻜَﺄَﻧَّﻤَﺎ ﻗَﺎﻡَ ﻧِﺼْﻒَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ
ﻭَﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢَ ﻓِﻰْ ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﻓَﻜَﺄَﻧَّﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞَ ﻛُﻠَّﻪُ -
৮. আব্দুর রহমান বিন আবী আমরাহ হ’তে
বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা ওছমান ইবনু
আফফান (রাঃ) মাগরিব ছালাতের পর
মসজিদে প্রবেশ করলেন। তিনি একাকী
বসে পড়লেন। আমিও তাঁর পাশে বসে
গেলাম। তখন তিনি বললেন, হে ভাতিজা!
আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে
ব্যক্তি এশার ছালাত জামা‘আতে আদায়
করল, সে যেন অর্ধরাত্রি ছালাতে
কাটাল এবং যে ব্যক্তি ফজরের ছালাত
জামা‘আতে আদায় করল, সে যেন সমস্ত
রাত্রি ছালাতে অতিবাহিত করল’।[11]
ওমর (রাঃ) বলেন, ﻷَﻥْ ﺃَﺷْﻬَﺪَ ﺍﻟْﻌِﺸَﺎﺀَ ﻭَﺍﻟْﻔَﺠْﺮَ ﻓِﻲْ
ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﺃَﺣَﺐُّ ﺇﻟَﻲَّ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﺃُﺣْﻴِﻲَ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ . ‘এশা ও
ফজরের ছালাত জামা‘আতের সাথে
আদায় করা এ দু’সময়ের মধ্যে রাত জেগে
ইবাদত করা অপেক্ষা আমি উত্তম মনে
করি’।[12] আবুদ্দারদা (রাঃ)
অন্তিমকালে বলেন, ﺍﺳْﻤَﻌُﻮْﺍ، ﻭَﺑَﻠِّﻐُﻮْﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠْﻔَﻜُﻢْ :
ﺣَﺎﻓِﻈُﻮْﺍ ﻋَﻠَﻰ ﻫَﺎﺗَﻴْﻦِ ﺍﻟﺼَّﻼَﺗَﻴْﻦِ؛ ﺍﻟْﻌِﺸَﺎﺀِ ﻭَﺍﻟﺼُّﺒْﺢِ، ﻭَﻟَﻮْ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮْﻥَ
ﻣَﺎ ﻓِﻴْﻬِﻤَﺎ ﻷَﺗَﻴْﺘُﻤُﻮْﻫُﻤَﺎ ﻭَﻟَﻮْ ﺣَﺒْﻮًﺍ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺮَﺍﻓِﻘِﻜُﻢْ ﻭَﺭُﻛَﺒِﻜُﻢْ .
‘তোমরা শোন এবং অনুপস্থিত লোকদের
নিকট সংবাদ পৌঁছে দাও। তোমরা এশা
ও ফজরের ছালাত যথাযথভাবে হেফাযত
করবে। এই দুই ছালাতে কি পরিমাণ
ছওয়াব রয়েছে তা যদি তোমরা জানতে
তাহ’লে হাঁটু ও কনুইয়ে ভর দিয়ে
হামাগুড়ি দিয়ে হ’লেও তাতে উপস্থিত
হ’তে’।[13]
ঙ. ছালাতের উদ্দেশ্যে মসজিদে
গমনকারী আল্লাহর মেহমান :
ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে
গমনকারী মুছললীগণ আল্লাহর মেহমান
হিসাবে গণ্য হয়। আল্লাহ তাঁর
মেহমানদের
উপহার স্বরূপ জান্নাত দিবেন।
9- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﻦْ
ﻏَﺪَﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﻭَﺭَﺍﺡَ ﺃَﻋَﺪَّ ﺍﻟﻠﻪُ ﻟَﻪُ ﻧُﺰُﻟَﻪُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔِ ﻛُﻠَّﻤَﺎ ﻏَﺪَﺍ
ﺃَﻭْ ﺭَﺍﺡَ –
৯. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি
সকালে ও সন্ধ্যায় যতবার মসজিদে যায়,
আল্লাহ তা‘আলা তার জন্য জান্নাতে
ততবার মেহমানদারীর ব্যবস্থা করে
রাখেন’।[14] ইমাম ইবনু বাত্ত্বাল বলেন,
অত্র হাদীছে জামা‘আতে উপস্থিত হ’তে
এবং নিয়মিত ছালাতের জন্য মসজিদে
যেতে উৎসাহিত করা হয়েছে। কেননা
আল্লাহ তা‘আলা যখন তার জন্য সকাল-
সন্ধ্যায় মেহমানদারীর ব্যবস্থা করেন,
তখন আল্লাহ তার জন্য কেমন ব্যবস্থা
করবেন তা সহজেই অনুমেয়। আর এ
মর্যাদা অর্জিত হবে জামা‘আতে
উপস্থিত হওয়া, ছওয়াবের প্রত্যাশা করা
ও নিয়ত বিশুদ্ধ করার মাধ্যমে।[15] ইমাম
ইবনু রজব (রহঃ) বলেন, হাদীছের অর্থ হ’ল-
যে ব্যক্তি ছালাতের জন্য মসজিদের
দিকে বের হ’ল সে আল্লাহর সাথে
সাক্ষাৎকারী। দিনের শুরু বা শেষে যখনই
সে মসজিদে যাবে তখনই আল্লাহ
মসজিদে তার জন্য মেহমানদারীর
ব্যবস্থা করবেন। হাফেয আবু মূসা
মাদীনী বলেন, ‘তোমাদের কেউ তার
প্রিয় ব্যক্তির সাথে সাক্ষাতের
উদ্দেশ্যে গেলে যেমন সে সর্বোচ্চ
চেষ্টা করে মেহমানদারী করে, তেমন
আল্লাহ করেন’।[16]
সালমান ফারেসী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত,
তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ﻣَﻦْ
ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓِﻲْ ﺑَﻴْﺘِﻪِ ﻓَﺄَﺣْﺴَﻦَ ﺍﻟْﻮُﺿُﻮْﺀَ، ﺛُﻢَّ ﺃَﺗَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪَ، ﻓَﻬُﻮَ ﺯَﺍﺋِﺮُ
ﺍﻟﻠﻪِ، ﻭَﺣَﻖٌّ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻤَﺰُﻭْﺭِ ﺃَﻥْ ﻳُﻜْﺮِﻡَ ﺍﻟﺰَّﺍﺋِﺮَ - ‘যে ব্যক্তি
বাড়িতে উত্তমরূপে ওযূূ করল। অতঃপর
মসজিদের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল, সে
আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎকারী। আর
মেযবানের জন্য আবশ্যক হ’ল মেহমানের
আতিথেয়তা প্রদান করা’।[17] অতএব
আল্লাহর মেহমান হ’তে হ’লে মসজিদে
গিয়ে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায়
করতে হবে।
চ. জামা‘আতে ছালাত আদায়কারীর
জাহান্নাম ও মুনাফিকী থেকে মুক্তি
লাভ :
জামা‘আতে ছালাত আদায় করলে দু’টি
জিনিস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
একটি হ’ল জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং
অপরটি হ’ল নিফাক্ব তথা কপটতা থেকে
মুক্তি।
10- ﻋﻦ ﺃَﻧَﺲٍ ﺑْﻦِ ﻣَﺎﻟِﻚٍ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺻَﻠَّﻰ ﻟِﻠَّﻪِ ﺃَﺭْﺑَﻌِﻴْﻦَ ﻳَﻮْﻣًﺎ ﻓِﻲْ ﺟَﻤَﺎﻋَﺔٍ ﻳُﺪْﺭِﻙُ ﺍﻟﺘَّﻜْﺒِﻴْﺮَﺓَ
ﺍﻟْﺄُﻭﻟَﻰ ﻛُﺘِﺒَﺖْ ﻟَﻪُ ﺑَﺮَﺍﺀَﺗَﺎﻥِ ﺑَﺮَﺍﺀَﺓٌ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَﺑَﺮَﺍﺀَﺓٌ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨِّﻔَﺎﻕِ -
১০. আনাস বিন মালেক (রাঃ) হ’তে
বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ)
বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ৪০
দিন তাকবীরে ঊলা (তাকবীরে
তাহরীমা) সহ জামা‘আতে ছালাত আদায়
করল, তার জন্য দু’টি মুক্তি লেখা হয়।
একটি হ’ল জাহান্নাম হ’তে মুক্তি।
অপরটি হ’ল নিফাক্ব হ’তে মুক্তি’।[18]
আল্লামা ত্বীবী অত্র হাদীছের
ব্যাখ্যায় বলেন, দুনিয়ায় তাকে
মুনাফিকের আমল করা থেকে নিরাপত্তা
দান করা হবে ও একনিষ্ঠভাবে আমল
করার তওফীক দান করা হবে। আর
পরকালে মুনাফিকদের যে শাস্তি
দেওয়া হবে তা থেকে রক্ষা করা হবে
এবং সে যে মুনাফিক নয় এ বিষয়ে
সাক্ষ্য দেওয়া হবে। কারণ মুনাফিকেরা
অমনোযোগী অবস্থায় ছালাতে দাঁড়ায়।
অত্র হাদীছে তাকবীরে ঊলার ফযীলত
বর্ণনা করা হয়েছে।[19]
ছ. জামা‘আতের প্রথম কাতারে
ছালাত আদায়ের ফযীলত :
প্রথম কাতারে ছালাত আদায় করা
মুমিনের কর্তব্য। প্রথম কাতারে ছালাত
আদায়ের জন্য ছাহাবীগণ প্রতিযোগিতা
করতেন। প্রথম কাতার ফেরেশতাদের
কাতারের মত। প্রথম কাতারে ছালাত
আদায়কারীর উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ
করেন ও তার জন্য ফেরেশতাগণ ক্ষমা
প্রার্থনা করেন।
11- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻮْ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻣَﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﻨِّﺪَﺍﺀِ ﻭَﺍﻟﺼَّﻒِّ ﺍﻷَﻭَّﻝِ، ﺛُﻢَّ ﻟَﻢْ
ﻳَﺠِﺪُﻭْﺍ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥْ ﻳَﺴْﺘَﻬِﻤُﻮْﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻻَﺳْﺘَﻬَﻤُﻮْﺍ، ﻭَﻟَﻮْ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮْﻥَ ﻣَﺎ ﻓِﻰ
ﺍﻟﺘَّﻬْﺠِﻴْﺮِ ﻻَﺳْﺘَﺒَﻘُﻮْﺍ ﺇِﻟَﻴْﻪِ، ﻭَﻟَﻮْ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮْﻥَ ﻣَﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟْﻌَﺘَﻤَﺔِ ﻭَﺍﻟﺼُّﺒْﺢِ
ﻷَﺗَﻮْﻫُﻤَﺎ ﻭَﻟَﻮْ ﺣَﺒْﻮًﺍ -
১১. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যদি
লোকেরা জানত যে, আযান ও প্রথম
কাতারে ছালাত আদায়ে কি নেকী
রয়েছে, তাহ’লে তারা পরস্পরে
প্রতিযোগিতা করত। অনুরূপভাবে যদি
তারা জানত এশা ও ফজরের ছালাতে কি
নেকী রয়েছে, তবে তারা হামাগুড়ি
দিয়ে হ’লেও ঐ দুই ছালাতে আসত’।[20]
ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, যদি লোকেরা
আযানের ফযীলত, মর্যাদা ও উত্তম
প্রতিদান সম্পর্কে জানত, অতঃপর
সময়ের সংকীর্ণতা বা এক ওয়াক্তে
একটি আযানের কারণে তা অর্জন করার
সুযোগ না পেত, তাহ’লে তা অর্জন করার
জন্য লটারি করত। অনুরূপ প্রথম কাতারে
ছালাত আদায়ের ফযীলত সম্পর্কে তারা
যদি জানত এবং সবাই এক সাথে চলে
আসার কারণে জায়গা সংকীর্ণ হয়ে
যেত। অতঃপর একে অপরের প্রতি
উদারতা দেখিয়ে জায়গা ছেড়ে না
দিত, তাহ’লে তারা লটারি করত...। তদ্রূপ
এশা ও ফজরের ছালাতের ফযীলত
সম্পর্কে জানলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে
হ’লেও তাতে অংশ গ্রহণ করত।[21] ইবনু
রজব বলেন, আযান ও প্রথম কাতারে
ছালাত আদায়ে কি পরিমাণ মর্যাদা ও
ছওয়াব রয়েছে তারা যদি জানত, আর
লটারি ব্যতীত তা অর্জন করা অসম্ভব
হয়ে যেত, তাহ’লে তারা ফযীলত ও
পুরস্কার অর্জনের জন্য লটারি করে
হ’লেও তা অর্জন করার চেষ্টা করত।[22]
আবূ উমামা (রাঃ) বলেন, একদা
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻣَﻼَﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺼَّﻒِّ ﺍﻷَﻭَّﻝِ، ﻗَﺎﻟُﻮْﺍ : ﻳَﺎ
ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺜَّﺎﻧِﻰ ﻗَﺎﻝَ : ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻣَﻼَﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَ
ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺼَّﻒِّ ﺍﻷَﻭَّﻝِ. ﻗَﺎﻟُﻮْﺍ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺜَّﺎﻧِﻰ، ﻗَﺎﻝ :
ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺜَّﺎﻧِﻰ -
‘ নিশ্চয়ই আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন ও তাঁর
ফেরেশতাগণ ক্ষমা প্রার্থনা করে
থাকেন প্রথম কাতারের মুছল্লীদের
জন্য। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর
রাসূল! দ্বিতীয় কাতারের উপর? তিনি
বললেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা রহমত
বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ ক্ষমা
প্রার্থনা করেন প্রথম কাতারে ছালাত
আদায়কারীদের জন্য। ছাহাবীগণ আবার
বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! দ্বিতীয়
কাতারের উপর? তিনি বললেন, দ্বিতীয়
কাতারের উপরেও’।[23] অন্য হাদীছে
এসেছে,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻣَﻼَﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻠُﻮْﻥَ ﺍﻟﺼُّﻔُﻮْﻑَ ﺍﻷُﻭَﻝَ
ﻭَﻣَﺎ ﻣِﻦْ ﺧَﻄْﻮَﺓٍ ﺃَﺣَﺐَّ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣِﻦْ ﺧَﻄْﻮَﺓٍ ﻳَﻤْﺸِﻴﻬَﺎ ﻳَﺼِﻞُ ﺑِﻬَﺎ
ﺻَﻔًّﺎ-
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা রহমত বর্ষণ
করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ ক্ষমা
প্রার্থনা করেন প্রথম কাতারে ছালাত
আদায়কারীদের জন্য। আর আল্লাহর
নিকট সর্বাধিক প্রিয় পদক্ষেপ ঐটি যা
কাতারে শামিল হওয়ার জন্য (বান্দা)
করে থাকে’।[24] অন্য বর্ণনায় রয়েছে,
একদা রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমরা কি
সেভাবে কাতারবদ্ধ হবে না, যেভাবে
ফেরেশতাগণ তাদের রবের সামনে
কাতারবদ্ধ হয়? ছাহাবীগণ বললেন, হে
আল্লাহর রাসূল! ফেরেশ কিভাবে
তাদের রবের সামনে কাতারবদ্ধ হন?
উত্তরে তিনি বললেন, তারা আগে প্রথম
কাতার পূরণ করেন। অতঃপর কাতারে
ঘেঁষে ঘেঁষে দাঁড়ান’।[25]
ইরবায ইবনু সারিয়া (রাঃ) বলেন, ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ
ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﻟِﻠﺼَّﻒِّ ﺍﻟْﻤُﻘَﺪَّﻡِ ﺛَﻼَﺛًﺎ
ﻭَﻟِﻠﺜَّﺎﻧِﻰ ﻣَﺮَّﺓً - ‘রাসূল (ছাঃ) প্রথম কাতারে
ছালাত আদায়কারীর জন্য তিনবার ক্ষমা
প্রার্থনা করেছেন এবং দ্বিতীয়
কাতারের জন্য একবার’।[26]
উপরের হাদীছগুলো থেকে বুঝা যায় যে,
স্বয়ং আল্লাহ রহমত বর্ষণ করেন এবং
আল্লাহর ফেরেশতাগণ ও রাসূল (ছাঃ)
প্রথম কাতার সমূহে ছালাত আদায়কারীর
জন্য রহমতের দো‘আ করেন। আর
জামা‘আতে ছালাত আদায় ব্যতীত
কাতারে আসার প্রশ্নই আসে না।
বারা ইবনু আযেব (রাঃ) বলেন,
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَﻣَﻼَﺋِﻜَﺘَﻪُ
ﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺼَّﻒِّ ﺍﻟْﻤُﻘَﺪَّﻡِ ﻭَﺍﻟْﻤُﺆَﺫِّﻥُ ﻳُﻐْﻔَﺮُ ﻟَﻪُ ﺑِﻤَﺪِّ ﺻَﻮْﺗِﻪِ
ﻭَﻳُﺼَﺪِّﻗُﻪُ ﻣَﻦْ ﺳَﻤِﻌَﻪُ ﻣِﻦْ ﺭَﻃْﺐٍ ﻭَﻳَﺎﺑِﺲٍ ﻭَﻟَﻪُ ﻣِﺜْﻞُ ﺃَﺟْﺮِ ﻣَﻦْ
ﺻَﻠَّﻰ ﻣَﻌَﻪُ - ‘আল্লাহ রহমত নাযিল করেন ও
তাঁর ফেরেশতাগণ দো‘আ করেন প্রথম
কাতারের লোকদের জন্য। আর
মুওয়াযযিনের আওয়ায যতদূর যায় ততদূর
পর্যন্ত তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
জীব ও জড় পদার্থ যেই তার ধ্বনি শ্রবণ
করে, সেই তার পক্ষে সাক্ষ্য দেয়। আর
যে ব্যক্তি তার সাথে জামা‘আতে
ছালাত আদায় করে, তার জন্যও তদ্রূপ
ছওয়াব রয়েছে’।[27] অন্য বর্ণনায় রয়েছে,
সামনের কাতার সমূহের উপরে[28] ( ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﺼُّﻔُﻮْﻑِ ﺍﻟْﻤُﻘَﺪَّﻣَﺔِ )। উল্লেখ্য যে, পুরুষের জন্য
সামনের কাতারে ছালাত আদায় করা
উত্তম হ’লেও মহিলাদের জন্য পিছনের
কাতারে ছালাত আদায় করা উত্তম। আবু
হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) বলেন, ‘পুরুষের জন্য সর্বোত্তম
কাতার হ’ল প্রথম কাতার এবং সর্বনিকৃষ্ট
কাতার হ’ল পিছনের কাতার। আর
মহিলাদের জন্য সর্বোত্তম কাতার হ’ল
পিছনের কাতার এবং সর্বনিকৃষ্ট প্রথম
কাতার’।[29]
জামা‘আত ও কাতার সম্পর্কে
জ্ঞাতব্য :
দু’জন মুছল্লী হ’লে জামা‘আত হবে। ইমাম
বামে ও মুক্তাদী ডানে দাঁড়াবে।[30]
তিনজন মুছল্লী হ’লে ইমাম সামনে এবং
দু’জন মুক্তাদী পিছনে দাঁড়াবে।[31] তবে
বিশেষ কারণে ইমামের দু’পাশে দু’জন
সমান্তরালভাবে দাঁড়াতে পারেন। তারা
বেশী হ’লে অবশ্যই পিছনে কাতার
দিবেন।[32] সামনের কাতারে পুরুষগণ ও
পিছনের কাতারে মহিলাগণ দাঁড়াবেন।
[33] পুরুষ সকলের ইমাম হবেন। কিন্তু নারী
কখনো পুরুষের ইমাম হবেন না। নারী ও
পুরুষ কখনোই পাশাপাশি দাঁড়াবেন না।
দু’জন বয়স্ক পুরুষ, একজন বালক ও একজন
মহিলা মুছল্লী হ’লে বয়স্ক একজন পুরুষ
ইমাম হবেন। তাঁর পিছনে উক্ত পুরুষ ও
বালকটি এবং সকলের পিছনে মহিলা
একাকী দাঁড়াবেন। আর যদি দু’জন পুরুষ ও
একজন মহিলা হন, তাহ’লে ইমামের ডানে
পুরুষ মুক্তাদী দাঁড়াবেন এবং পিছনে
মহিলা একাকী দাঁড়াবেন।[34] একজন পুরুষ
ও একজন মহিলা হ’লে সামনে পুরুষ ও
পিছনে মহিলা দাঁড়াবেন। ইমামকে
মধ্যবর্তী ধরে কাতার ডানে ও বামে
সমান করতে হবে। তবে ডাইনে সামান্য
বৃদ্ধি হবে। কিন্তু কোনক্রমেই ডান
প্রান্ত থেকে বা মসজিদের উত্তর
দেওয়াল থেকে ২য় ও পরবর্তী কাতার
সমূহ শুরু করা যাবে না। প্রয়োজনে ইমাম
উঁচুতে ও মুক্তাদীগণ নীচে দাঁড়াতে
পারেন।[35]
জ. জামা‘আতে ছালাত আদায়ের
উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে মসজিদে
যাওয়ার ফযীলত :
১৩- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰْ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﻻَ ﺃَﺩُﻟُّﻜُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﺎ ﻳَﻤْﺤُﻮ ﺍﻟﻠﻪُ ﺑِﻪِ ﺍﻟْﺨَﻄَﺎﻳَﺎ ﻭَﻳَﺮْﻓَﻊُ ﺑِﻪِ
ﺍﻟﺪَّﺭَﺟَﺎﺕِ. ﻗَﺎﻟُﻮْﺍ ﺑَﻠَﻰ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ . ﻗَﺎﻝَ : ﺇِﺳْﺒَﺎﻍُ ﺍﻟْﻮُﺿُﻮْﺀِ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟْﻤَﻜَﺎﺭِﻩِ ﻭَﻛَﺜْﺮَﺓُ ﺍﻟْﺨُﻄَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴَﺎﺟِﺪِ ﻭَﺍﻧْﺘِﻈَﺎﺭُ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺑَﻌْﺪَ
ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﻓَﺬَﻟِﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎﻁُ، ﻓَﺬَﻟِﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎﻁُ، ﻓَﺬَﻟِﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺑَﺎﻁُ –
১৩. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমি
কি তোমাদের এমন বস্তুর সন্ধান দিব না,
যা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা গুনাহ সমূহ দূর
করে দিবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করে
দিবেন? তা হ’ল, কষ্টকর অবস্থায়ও
পূর্ণরূপে ওযূূ করা, মসজিদের দিকে অধিক
পদচারণা এবং এক ছালাতের পর অন্য
ছালাতের জন্য অপেক্ষা করা। এটাই
রিবাত, এটাই রিবাত, এটাই রিবাত’।[36]
এতে অর্থাৎ ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা
পাহারা দেয়ার ন্যায় ছওয়াব রয়েছে।
১৪- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰْ ﺃُﻣَﺎﻣَﺔَ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ
ﻗَﺎﻝَ : ﻣَﻦْ ﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻦْ ﺑَﻴْﺘِﻪِ ﻣُﺘَﻄَﻬِّﺮًﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺻَﻼَﺓٍ ﻣَﻜْﺘُﻮْﺑَﺔٍ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ
ﻛَﺄَﺟْﺮِ ﺍﻟْﺤَﺎﺝِّ ﺍﻟْﻤُﺤْﺮِﻡِ، ﻭَﻣَﻦْ ﺧَﺮَﺝَ ﺇِﻟَﻰ ﺗَﺴْﺒِﻴْﺢِ ﺍﻟﻀُّﺤَﻰ ﻻَ
ﻳُﻨْﺼِﺒُﻪُ ﺇِﻻَّ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻛَﺄَﺟْﺮِ ﺍﻟْﻤُﻌْﺘَﻤِﺮِ، ﻭَﺻَﻼَﺓٌ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺛْﺮِ ﺻَﻼَﺓٍ
ﻻَ ﻟَﻐْﻮَ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻛِﺘَﺎﺏٌ ﻓِﻰْ ﻋِﻠِّﻴِّﻴْﻦَ -
১৪. আবূ উমামা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে
ব্যক্তি ওযূূ করে ফরয ছালাত আদায়ের
উদ্দেশ্যে মসজিদে যায়, সে ইহরামকারী
হাজীর অনুরূপ ছওয়াব পাবে। আর যে
ব্যক্তি কেবলমাত্র চাশতের ছালাত
আদায়ের জন্য মসজিদে যায় সে
ওমরাকারীর ন্যায় ছওয়াব প্রাপ্ত হবে।
যে ব্যক্তি এক ওয়াক্ত ছালাত আদায়ের
পর হ’তে পরের ওয়াক্ত ছালাত আদায়
করাকালীন সময়ের মধ্যে কোনরূপ
অপ্রয়োজনীয় কাজ ও কথাবার্তায় লিপ্ত
না হয়, তার আমলনামা (সপ্তাকাশে)
ইল্লিঈনে লিপিবদ্ধ হবে’।[37] অর্থাৎ সে
উচ্চমর্যাদার অধিকারী হবে।
১৫- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰْ ﺃُﻣَﺎﻣَﺔَ ﺍﻟْﺒَﺎﻫِﻠِﻰِّ ﻋَﻦْ ﺭَﺳُﻮْﻝِ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻗَﺎﻝَ : ﺛَﻼَﺛَﺔٌ ﻛُﻠُّﻬُﻢْ ﺿَﺎﻣِﻦٌ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﺭَﺟُﻞٌ
ﺧَﺮَﺝَ ﻏَﺎﺯِﻳًﺎ ﻓِﻰ ﺳَﺒِﻴﻞِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺿَﺎﻣِﻦٌ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺘَﻮَﻓَّﺎﻩُ
ﻓَﻴُﺪْﺧِﻠَﻪُ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺃَﻭْ ﻳَﺮُﺩَّﻩُ ﺑِﻤَﺎ ﻧَﺎﻝَ ﻣِﻦْ ﺃَﺟْﺮٍ ﻭَﻏَﻨِﻴﻤَﺔٍ ﻭَﺭَﺟُﻞٌ ﺭَﺍﺡَ
ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﻓَﻬُﻮَ ﺿَﺎﻣِﻦٌ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺘَﻮَﻓَّﺎﻩُ ﻓَﻴُﺪْﺧِﻠَﻪُ
ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﺃَﻭْ ﻳَﺮُﺩَّﻩُ ﺑِﻤَﺎ ﻧَﺎﻝَ ﻣِﻦْ ﺃَﺟْﺮٍ ﻭَﻏَﻨِﻴﻤَﺔٍ ﻭَﺭَﺟُﻞٌ ﺩَﺧَﻞَ ﺑَﻴْﺘَﻪُ
ﺑِﺴَﻼَﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﺿَﺎﻣِﻦٌ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ –
১৫. আবূ উমামা আল-বাহেলী (রাঃ)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন যে,
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, তিন প্রকার
লোকের প্রত্যেকেই মহান আল্লাহ
তা‘আলার যিম্মাদারীতে থাকে। ১. যে
আল্লাহর পথে জিহাদ করার জন্য বের হয়,
সে আল্লাহর যিম্মায় থাকে। সে মৃত্যুবরণ
করলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে
জান্নাতে প্রবেশ করান অথবা নিরাপদে
ফিরে এলে তাকে নেকী এবং গণীমতের
প্রাপ্য অংশ দান করেন। ২. যে ব্যক্তি
জামা‘আতে ছালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে
মসজিদের দিকে ধাবিত হয়, সেও
আল্লাহর যিম্মায় থাকে। এমতাবস্থায়
সে যদি মারা যায়, তবে আল্লাহ
তা‘আলা তাকে জান্নাত দান করেন। আর
মসজিদ হ’তে ফিরে এলে তার প্রাপ্য
ছওয়াব ও যুদ্ধলব্ধ সম্পদের অংশীদার
করেন। ৩. যে ব্যক্তি নিজ বাড়িতে
প্রবেশ করার সময় পরিবারের
লোকজনকে সালাম দেয়, সেও মহান
আল্লাহর যিম্মায় থাকে’।[38]
১৬- ﻋَﻦْ ﺑُﺮَﻳْﺪَﺓَ ﻋَﻦِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗَﺎﻝَ : ﺑَﺸِّﺮِ
ﺍﻟْﻤَﺸَّﺎﺋِﻴْﻦَ ﻓِﻰ ﺍﻟﻈُّﻠَﻢِ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴَﺎﺟِﺪِ ﺑِﺎﻟﻨُّﻮْﺭِ ﺍﻟﺘَّﺎﻡِّ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ -
১৬. বুরায়দা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)
হ’তে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘যারা
(জামা‘আতে ছালাত আদায়ের
উদ্দেশ্যে) অন্ধকার রাতে মসজিদে
পায়ে হেঁটে হাযির হয়, তাদেরকে
ক্বিয়ামতের দিনে পরিপূর্ণ নূরের
সুসংবাদ দাও’।[39] আল্লামা ত্বীবী
পরিপূর্ণ নূর এবং এটি ক্বিয়ামতের
দিনের জন্য খাছ হওয়ার ব্যাপারে বলেন,
ক্বিয়ামতের দিন মুমিনদের মুখমন্ডল
চমকাতে থাকবে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা
বলেন, ﻧُﻮْﺭُﻫُﻢْ ﻳَﺴْﻌَﻰ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﻳْﺪِﻳْﻬِﻢْ ﻭَﺑِﺄَﻳْﻤَﺎﻧِﻬِﻢْ ﻳَﻘُﻮْﻟُﻮْﻥَ ﺭَﺑَّﻨَﺎ
ﺃَﺗْﻤِﻢْ ﻟَﻨَﺎ ﻧُﻮْﺭَﻧَﺎ ﻭَﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟَﻨَﺎ ﺇِﻧَّﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳْﺮٌ
‘তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানে
ধাবিত হবে। তারা বলবে, হে আমাদের
রব! আমাদের জন্য আমাদের নূর পূর্ণ করে
দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
নিশ্চয়ই আপনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান’।
[40]
১৭- ﻋَﻦْ ﻋُﺜْﻤَﺎﻥَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ
ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﺎ ﻣِﻦِ ﺍﻣْﺮِﺉٍ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ ﺗَﺤْﻀُﺮُﻩُ ﺻَﻼَﺓٌ ﻣَﻜْﺘُﻮﺑَﺔٌ ﻓَﻴُﺤْﺴِﻦُ
ﻭُﺿُﻮﺀَﻫَﺎ ﻭَﺧُﺸُﻮﻋَﻬَﺎ ﻭَﺭُﻛُﻮﻋَﻬَﺎ ﺇِﻻَّ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓً ﻟِﻤَﺎ ﻗَﺒْﻠَﻬَﺎ ﻣِﻦَ
ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏِ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﻳُﺆْﺕِ ﻛَﺒِﻴﺮَﺓً ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺍﻟﺪَّﻫْﺮَ ﻛُﻠَّﻪُ -
১৭. ওছমান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যার
নিকটে ফরয ছালাতের ওয়াক্ত সমাগত
হবে। অতঃপর সে ঐ ছালাতের জন্য সুন্দর
করে ওযূ করবে। তারপর ছালাতে
উত্তমরূপে বিনয়-নম্রতা প্রদর্শন করবে
এবং উত্তমরূপে রুকূ করবে। তাহ’লে তার
ছালাত পূর্বে সংঘটিত পাপ-রাশির জন্য
কাফফারা হয়ে যাবে, যতক্ষণ সে কবীরা
গোনাহে লিপ্ত না হবে। আর এটা সারা
বছরের জন্য প্রযোজ্য’।[41]
১৮- ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻰ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻣَﻦْ ﺗَﻮَﺿَّﺄَ ﻓَﺄَﺣْﺴَﻦَ ﻭُﺿُﻮْﺀَﻩُ ﺛُﻢَّ ﺭَﺍﺡَ ﻓَﻮَﺟَﺪَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻗَﺪْ
ﺻَﻠَّﻮْﺍ ﺃَﻋْﻄَﺎﻩُ ﺍﻟﻠﻪُ ﻣِﺜْﻞَ ﺃَﺟْﺮِ ﻣَﻦْ ﺻَﻼَّﻫَﺎ ﺃَﻭْ ﺣَﻀَﺮَﻫَﺎ ﻻَ ﻳَﻨْﻘُﺺُ
ﺫَﻟِﻚَ ﻣِﻦْ ﺃُﺟُﻮﺭِﻫِﻢْ ﺷَﻴْﺌﺎً -
১৮. আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি
বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে
ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযূূ করল। অতঃপর
মসজিদে গিয়ে দেখল যে, লোকজন
ছালাত আদায় করে ফেলেছে। আল্লাহ
তাকে ঐ ব্যক্তির ন্যায় পুরস্কার দিবেন,
যে ব্যক্তি ছালাত আদায় করেছে ও শুরু
থেকে উপস্থিত থেকেছে। তাদের নেকী
থেকে মোটেই কম করা হবে না’।[42]
19- ﻋَﻦْ ﺟَﺎﺑِﺮِ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠﻪِ ﻗَﺎﻝَ : ﺧَﻠَﺖِ ﺍﻟْﺒِﻘَﺎﻉُ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ،
ﻓَﺄَﺭَﺍﺩَ ﺑَﻨُﻮ ﺳَﻠِﻤَﺔَ ﺃَﻥْ ﻳَﻨْﺘَﻘِﻠُﻮﺍ ﺇِﻟَﻰ ﻗُﺮْﺏِ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ، ﻓَﺒَﻠَﻎَ ﺫَﻟِﻚَ
ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ، ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟَﻬُﻢْ : ﺇِﻧَّﻪُ ﺑَﻠَﻐَﻨِﻰ
ﺃَﻧَّﻜُﻢْ ﺗُﺮِﻳْﺪُﻭْﻥَ ﺃَﻥْ ﺗَﻨْﺘَﻘِﻠُﻮْﺍ ﻗُﺮْﺏَ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ . ﻗَﺎﻟُﻮْﺍ ﻧَﻌَﻢْ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝَ
ﺍﻟﻠﻪِ! ﻗَﺪْ ﺃَﺭَﺩْﻧَﺎ ﺫَﻟِﻚَ . ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﻳَﺎ ﺑَﻨِﻰ ﺳَﻠِﻤَﺔَ ﺩِﻳَﺎﺭَﻛُﻢْ ﺗُﻜْﺘَﺐْ ﺁﺛَﺎﺭُﻛُﻢْ
ﺩِﻳَﺎﺭَﻛُﻢْ ﺗُﻜْﺘَﺐْ ﺁﺛَﺎﺭُﻛُﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻟُﻮْﺍ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺴُﺮُّﻧَﺎ ﺃَﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﺗَﺤَﻮَّﻟْﻨَﺎ -
১৯. জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে
বর্ণিত তিনি বলেন, মসজিদে নববীর
আশে-পাশে কিছু জায়গা খালি হ’ল। (এ
দেখে) বনু সালামাহ মসজিদে (নববী)-এর
নিকট স্থানান্তরিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ
করলেন। এ খবর রাসূল (ছাঃ) জানতে
পারলে তিনি তাদেরকে বললেন, ‘আমি
জানতে পেরেছি যে, তোমরা মসজিদের
নিকটে চলে আসার ইচ্ছা করছ!’ তারা
বলল, জী হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা
এমনটা ইচ্ছা করেছি। তিনি বললেন, ‘হে
বনু সালামাহ! তোমরা তোমাদের
বাড়ীতেই থাক। কেননা এতে (দূরত্বের
কারণে) মসজিদে আসতে তোমাদের
পদক্ষেপ বৃদ্ধি পাবে এবং তোমাদের
পদচিহ্ন সমূহ (তোমাদের আমলনামায়)
লিখিত হবে’। তারা বলল, (মসজিদের
নিকট) স্থানান্তরিত হওয়া আমাদেরকে
আনন্দ দিবে না'।[43]
(চলবে)
[1]. তাফসীরে ইবনু কাছীর, অত্র আয়াতের
তাফসীর দ্রষ্টব্য ৮/২২৬ ।
[2]. বুখারী হা/২১১৯; মুসলিম হা/৬৪৯ ।
[3]. মুসলিম হা/৬৪৯; মিশকাত
হা/১০৫২; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৮৪২ ।
[4]. বুখারী হা/৬৪৫; মিশকাত হা/১০৫২ ।
[5]. আবুদাঊদ হা/৫৫৪; ছহীহুল জামে‘
হা/২২৪২; মিশকাত হা/১০৬৬ ।
[6]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৮৪৮৫ ।
[7]. বুখারী হা/৬৫১; মুসলিম
হা/৬৬২;মিশকাত হা/৬৯৯ ।
[8]. মুসলিম হা/৬৬৬; ছহীহ তারগীব
হা/১১৮১ ।
[9]. আবুদাঊদ হা/৫৬৩; ছহীহুল জামে‘
হা/৪৪০; ছহীহ তারগীব হা/৩০১ ।
[10]. মুসলিম হা/৬৬৩; ছহীহ তারগীব
হা/৩০৮ ।
[11]. মুসলিম হা/৬৫৬; মিশকাত হা/৬৩০;
ছহীহ তারগীব হা/৪১৫ ।
[12]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩৭৭,৩৩৭৮;
শু‘আবুল ঈমান হা/২৮৭৮; ইবনু রজব, ফাতহুল
বারী ৬/৩৬, সনদ ছহীহ।
[13]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৩৭৪, ৩৩৭৭,
৩৩৫৫; শু‘আবুল ঈমান হা/২৬১৯, সনদ ছহীহ।
[14]. বুখারী হা/৬৬২; মুসলিম হা/৬৬৯;
মিশকাত হা/৬৯৮ ।
[15]. ইবনু বাত্ত্বাল, শারহু ছহীহিল বুখারী
২/২৮৫ ।
[16]. ইবনু রজব, ফাতহুল বারী ৬/৫৩ ।
[17]. মু‘জামুল কাবীর হা/৬১৩৯; ছহীহ
তারগীব হা/৩২২; ছহীহাহ হা/১১৬৯ ।
[18]. তিরমিযী হা/২৪১; ছহীহ তারগীব
হা/৪০৯; ছহীহাহ হা/২৬৫২; ছহীহুল জামে‘
হা/৬৩৬৫; মিশকাত হা/১১৪৪ ।
[19]. মিরক্বাত ৩/৮৮০; মির‘আত ৪/১০২ ।
[20]. বুখারী হা/৬১৫; মুসলিম হা/৪৩৭;
মিশকাত হা/৬২৮ ‘ছালাতের ফযীলতসমূহ’
অনুচ্ছেদ-৩ ।
[21]. শারহুন নববী আলা মুসলিম ৪/১৫৮ ।
[22]. ইবনু রজব, ফাতহুল বারী ৫/২৮৬ ।
[23]. আহমাদ হা/২২৩১৭; ইবনু হিববান
হা/২১৫৮; ছহীহ তারগীব হা/৪৯১ ।
[24]. আবুদাঊদ হা/৫৪৩; ছহীহ তারগীব
হা/৫০৭ ।
[25]. মুসলিম হা/৪৩০; মিশকাত হা/১০৯১ ।
[26]. ইবনু মাজাহ হা/৯৯৬; তিরমিযী
হা/২২৪; ছহীহ তারগীব হা/৪৯০ ।
[27]. নাসাঈ হা/৬৪৬; আহমাদ হা/১৮৫২৯;
ছহীহ তারগীব হা/২৩৫ ।
[28]. নাসাঈ হা/৬৬১; ছহীহুল জামে‘
হা/১৮৪২ ।
[29]. মুসলিম হা/৪৪০, মিশকাত হা/১০৯২ ।
[30]. মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত
হা/১১০৬, ‘দাঁড়ানোর স্থান’ অনুচ্ছেদ-২৫ ।
[31]. মুসলিম, মিশকাত হা/১১০৭,
অনুচ্ছেদ-২৫ ।
[32]. নাসাঈ হা/১০২৯; আবুদাঊদ হা/৬১৩;
ইরওয়া হা/৫৩৮, সনদ ছহীহ।
[33]. মুসলিম হা/৪৪০; মিশকাত হা/১০৯২;
আবুদাঊদ হা/৬৭৮ ‘ছালাত’ অধ্যায়- ২।
[34]. বুখারী হা/৭২৭; মিশকাত হা/১১০৮,
১১০৯, অনুচ্ছেদ-২৫ ।
[35]. হাকেম হা/৭৬০; ইরওয়া হা/৫৪৪;
আবুদাঊদ হা/৫৯৭, সনদ ছহীহ, অনুচ্ছেদ-৬৭ ।
[36]. মুসলিম হা/২৫১; মিশকাত হা/২৮২;
ছহীহুল জামে‘ হা/২৬১৮; ছহীহ তারগীব
হা/১৯২ ।
[37]. আবুদাঊদ হা/৫৫৮; ছহীহুল জামে‘
হা/৬২২৮; ছহীহ তারগীব হা/৩২০,৬৭৫;
মিশকাত হা/৭২৮ ।
[38]. আদাবুল মুফরাদ হা/১০৯৪; আবুদাউদ
হা/২৪৯৪; ছহীহুল জামে‘ হা/৩০৫৩;
মিশকাত হা/৭২৭ ।
[39]. হাকেম হা/৭৬৮; আবুদাউদ হা/৫৬১;
ইবনু মাজাহ হা/৭৮১; ছহীহুল জামে‘
হা/২৮২৩; ছহীহ তারগীব হা/৩১৫,৩১৯,৪২৫;
মিশকাত হা/৭২১ ।
[40]. তাহরীম ৬৬/০৮; ত্বীবী, আল-কাশেফ
আন হাকায়েকিস সুনান ৩/৯৪১; মির‘আত
২/৪৩০; তুহফা ২/১৩ ।
[41]. আহমাদ হা/২২২৯১; মুসলিম হা/২২৮;
ছহীহ তারগীব হা/৩৬৪; মিশকাত হা/২৮৬।
[42]. আবুদাঊদ হা/৫৬৪; ছহীহ তারগীব
হা/৪১০; মিশকাত হা/১১৪৫, মিশকাত
হা/১১৪৫ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘মুক্তাদীর
কর্তব্য ও মাসবূকের হুকুম’ অনুচ্ছেদ-২৮ ।
[43]. মুসলিম হা/৬৬৫; ছহীহ তারগীব
হা/৩০৪; মিশকাত হা/৭০০; ‘মসজিদ সমূহ ও
ছালাতের স্থান সমূহ’ অনুচ্ছেদ ।
সুত্রঃ মাসিক আত-তাহরীক।